সৌভিক মজুমদার, অর্ণব মুখোপাধ্যায় ও পূর্ণেন্দু সিংহ, কলকাতা : হাইকোর্টে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট জমা পড়ার দিনে, কাশীপুরে যুব নেতার মৃত্যু নিয়ে, বিজেপির অন্দরেই দুই সুর। বিজেপি নেত্রী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল প্রশ্ন তুলেছেন, ওই যুব নেতাকে কারা ঝুলিয়ে দিল? অন্যদিকে, বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকারের মুখে শোনা গেছে দুর্ঘটনা এবং ডিপ্রেশনের কথা। 


‘বিজেপির যুব নেতা অর্জুন চৌরাসিয়ার মৃত্যু হয়েছে গলায় ফাঁস লেগে ঝোলার কারণে। ঝোলার আগে পর্যন্ত তাঁর শরীরে প্রাণ ছিল’। আলিপুর কমান্ড হাসপাতালের তরফে কলকাতা হাইকোর্টে মুখবন্ধ খামে এই রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। এই প্রেক্ষাপটে যুব নেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে  বিজেপির অন্দরেই শোনা গেল দুই সুর। 

আরও পড়ুন :


' ভগবান ওদের ক্ষমা করুক' কাকে কেন বললেন ফিরহাদ !


সামনে চলে এল আইনজীবী নেত্রী এবং চিকিৎসক সাংসদের ভিন্নমত। অর্জুন চৌরাসিয়ার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে আসার পর, রাজ্য বিজেপিক সম্পাদক এবং আইনজীবী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল ( advocate Priyanka Tibrewal )  প্রশ্ন তুলেছেন, যুব নেতাকে ফাঁসিতে ঝোলাল কে? কিন্তু, বিজেপিরই সাংসদ এবং চিকিৎসক সুভাষ সরকার (MP Subhas Sarkar )  আবার দুর্ঘটনা এবং ডিপ্রেশনের কথা বলছেন। বঙ্গ সফরে এসে খোদ অমিত শাহও সেদিন রাজনৈতিক খুনের অভিযোগ করেছিলেন। সব মিলিয়ে বিজেপির যুব নেতার মৃত্যুর কারণ নিয়ে এখনও জোর তরজা।


অন্যদিকে মৃতের দাদা আনন্দকুমার চৌরাসিয়ার দাবি, আত্মহত্যা করার কোনও কারণ নেই। আমরা তো CBI চাইছিলাম, যেই তদন্ত করুক, আমার ইনসাফ চাই...! হাসপাতালের রিপোর্ট অনুসারে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়ার প্রমাণ নেই! যদিও, এখনও খুনের অভিযোগেই সরব মৃত বিজেপির যুব নেতার পরিবার! তবে, শুরু থেকে CBI তদন্ত চাইলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের তৈরি SIT’র তদন্তের ওপরই কার্যত আস্থা রাখছে তারা। চাইছে ইনসাফ।


আপাতত সবার নজর ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্টের দিকে।