কলকাতা : কাশীপুরের ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন,
"আর কত রক্ত পেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শান্ত হবেন আমরা জানতে চাই। ভোটের পরে আমাদের ৫৭ জন খুন হয়েছেন। নিজেরা খুন করছে, মারছে ...আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এধরনের কথা বলছেন। এদের শাস্তি হওয়া দরকার। বাংলার মানুষ এদের শাস্তি দেবে। আমরা সিবিআই তদন্ত চাই।"


কাশীপুরে বিজেপি যুব মোর্চার এক নেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনাকে ঘিরে তুলকালাম। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, ২৬ বছরের ওই যুবক, অর্জুন চৌরাসিয়াকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। কাশীপুর রেল কোয়ার্টারের পরিত্যক্ত একটি ঘরে ওই যুবকের ঝুলন্ত দেহ মেলে। ঘটনাস্থলে চলে আসেন বিজেপি নেতা, কর্মী, সমর্থকরা। পুলিশকে দেহ বের করতে বাধা দেওয়া হয়। দফায় দফায় বিক্ষোভ হয় পুলিশকে ঘিরে। এরমধ্যেই ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অতীন ঘোষ। তৃণমূল ও বিজেপি, দু’দলের কর্মীদের মধ্যে শুরু হয়ে যায় স্লোগান যুদ্ধ।  


পরে পুলিশের বিশাল বাহিনী আসে ঘটনাস্থলে। তারা দেহ উদ্ধার করতে গেলে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। অবশেষে বিজেপি কর্মীদের টেনে হিঁচড়ে সরিয়ে পুলিশ মৃতদেহ বের করে। প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা পর পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।  ঘটনায় মৃতের পরিবার সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে।


এই পরিস্থিতিতে আজ কাশীপুরে আসেন শাহ। মৃতের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে তিনি জানান, বিজেপি যুব মোর্চার নেতা অর্জুন চৌরাশিয়ার রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।


তিনি বলেন, "বিজেপির নেতা অর্জুন চৌরাশিয়াকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হত্যা করা হয়েছে। গোটা বাংলার যেখানেই যান, রাজনৈতিক প্রতিশোধে হত্যা চলছে। বিরোধী নেতাদের বেছে বেছে খুন করা হচ্ছে। কালই তৃণমূল সরকারের বর্ষপূর্তি ছিল, পরদিনই বাংলায় রাজনৈতিক হিংসা। খুনির কঠোর থেকে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। বাম আমলের হিংসাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে তৃণমূল জমানা। সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়া উচিত। মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করার সময় ভিডিওগ্রাফি করা হোক। খুনিদের ধরা তো দূরের কথা, অর্জুন চৌরাশিয়ার দিদাকেও মারধর করেছে প্রশাসন। পরিবারের থেকে জোর করে মৃতদেহ ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কাশীপুরে মৃত বিজেপি নেতার পরিবারের পাশে থেকে অভিযোগ অমিত শাহর।"