অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: কোভিডের জন্য গত ২ বছর ধরে  কল্পতরু উৎসবে কাশীপুর উদ্যানবাটিতে যেতে পারেননি ভক্তরা। এবার ছবিটা অন্য। টানা ২ বছর পরে ফের কল্পতরু উৎসবে ভক্তদের জন্য কাশীপুর উদ্যানবাটির দরজা খুলে যাবে। উৎসব চলবে ৩ দিন ধরে।  


২০২১ এবং ২০২২। এই  ২ বছর করোনার (Covid) কোপে ভেস্তে গিয়েছিল কল্পতরু উৎসবে ভক্তদের প্রবেশ। ২ বছর পর এবার ফের কল্পতরু (Kalpataru) উৎসবে ভক্তদের জন্য খুলবে কাশীপুর উদ্য়ানবাটীর দরজা। যদিও, ফের কোভিডের উদ্বেগ বাড়ছে। করোনা সংক্রমণ ফের বাড়তে পারে এমন আশঙ্কায় মঠের তরফে ভক্তদের কোভিড বিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জানিয়েছেন, কাশীপুর রামকৃষ্ণ মঠের অধ্য়ক্ষ স্বামী দিব্যানন্দ।


কল্পতরু৷ যা ভক্তের মনস্কামনা পূর্ণ করে৷ ১৮৮৬ সালের পয়লা জানুয়ারি কল্পতরু রূপে ভক্তদের আশীর্বাদ করেছিলেন ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ৷ কাশীপুর উদ্যানবাটীতে ভক্তদের আশীর্বাদ করে বলেছিলেন- 'চৈতন্য হোক'৷ এরপর থেকেই প্রতিবছর জানুয়ারি মাসের প্রথম দিনে পালিত হয়ে আসছে কল্পতরু উত্সব হিসেবে৷ 


কতদিন উৎসব:
কাশীপুর উদ্য়ানবাটীর তরফে জানানো হয়েছে, ৩দিন ধরে চলবে উৎসব। যাঁদের কোমর্বিডিটিজনিত সমস্যা রয়েছে, তাঁদের ভিড় এড়াতে ২ ও ৩ জানুয়ারি আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। 

বেলুড়ে যিশু পুজো:
মহাসমারোহে বেলুড়মঠে (Belur Math) হল যিশু পুজো। প্রতিবছর বড়দিনের আগের সন্ধ্যায় এই যিশু পুজোর আয়োজন করা হয় বেলুড় মঠে। সন্ধ্যা আরতির পর মূল মন্দিরের ডান দিকে প্রভু যিশুর ছবির সামনে ফুল,মালা ধূপ ধুনো কেক, পেস্ট্রি, চকলেট, মিষ্টি ইত্যাদি দিয়ে পুজো নিবেদন করা হয়। একই সঙ্গে এই দিনই যিশুখ্রিস্টের জীবনী এবং তার বার্তারও বর্ণনা করা হয়। ১৮৮৬ সালের ১৬ অগষ্ট, ঠাকুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ দেবের মহাপ্রয়ানের এক সপ্তাহ পর স্বামী বিবেকানন্দ তাঁর অন্যান্য গুরু ভাইদের সঙ্গে হুগলির আটপুরে গিয়েছিলেন স্বামী প্রেমানন্দজী বা বাবুরাম মহারাজের বাড়িতে। সেখানেই এমনই এক শীতের সন্ধ্যায় তিনি ধুনি জ্বালিয়ে তাঁর গুরুভাইদের যিশু ক্রিস্টের জীবনী এবং তাঁর আত্মত্যাগের বর্ণনা করছিলেন। ঘটনাচক্রে সেই দিনটা ছিল ক্রিসমাস ইভ। আর সেই দিনটা স্মরণ করেই বেলুড় মঠে প্রতি বছরের মত এবারেও মহা সমারোহে যিশু'র আরাধনা বা যিশু পুজা হয়ে আসছে।


আরও পড়ুন: বড়দিনের আগে মহাসমারহে যিশু পুজো বেলুড়মঠে