হাওড়া: মহাসমারহে বেলুড়মঠে (Belur Math) হল যিশু পুজো। প্রতিবছর বড়দিনের আগের সন্ধ্যায় এই যিশু পুজোর আয়োজন করা হয় বেলুড় মঠে। সন্ধ্যা আরতির পর মূল মন্দিরের ডান দিকে প্রভু যিশুর ছবির সামনে ফুল,মালা ধূপ ধুনো কেক, পেস্ট্রি, চকলেট, মিষ্টি ইত্যাদি দিয়ে পুজো নিবেদন করা হয়। সঙ্গে সন্ন্যাসী মহারাজদের গাওয়া কেরল সংগীত।একই সঙ্গে এই দিনই যিশুখ্রিস্টের জীবনী এবং তার সৌর্যরও বর্ণনা করা হয়।


বড়দিনের আগে মহাসমারহে যিশু পুজো বেলুড়মঠে


জানা গিয়েছে, ১৬ অগষ্ট ১৮৮৬ সালে ঠাকুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ দেবের মহাপ্রয়ানের এক সপ্তাহ পর স্বামী বিবেকানন্দ তাঁর অন্যান্য গুরু ভাইদের সঙ্গে হুগলির আটপুরে গিয়েছিলেন স্বামী প্রেমানন্দজী বা বাবুরাম মহারাজের বাড়িতে। সেখানেই এমনই এক শীতের সন্ধ্যায় তিনি ধুনি জ্বালিয়ে তার গুরুভাতাদের জেসাস ক্রাইস্টের জীবনী এবং তার আত্মত্যাগের বর্ণনা করছিলেন। ঘটনাচক্রে সেই দিনটা ছিল ক্রিসমাস ইভ।  আর সেই দিনটা স্মরণ করেই বেলুড় মঠে প্রতি বছরে মত এবারেও মহা সমারোহে যীশু'র আরাধনা বা যীশু পুজা হয়ে আসছে। মূল মন্দিরের ভিতরে ঠাকুরের সন্ধ্যা আরতির পর মন্দিরের ভেতরেই ডান দিকে যীশুর ছবির সামনে এই অনুষ্ঠান হয়। গত দু'বছর করোনার কারণে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকায় এবারে ভক্ত এবং দর্শকের ঢল নেমেছে বেলুড়মঠে। পুজো শেষে ভক্তদের হাতে প্রসাদ মিষ্টি এবং কেক বিতরণ করা হবে।


আরও পড়ুন, নন্দনে ব্রাত্য দেবের 'প্রজাপতি', সুযোগ পায়নি সায়নির 'অপরাজিত'ও, দুজনেই তৃণমূলের !


রাত পেরোলেই বড়দিন


প্রসঙ্গত,  রাত পেরোলেই বড়দিন। সেজে উঠেছে পার্ক স্ট্রিট। ইতিমধ্যেই জমতে শুরু করেছে ক্রিসমাস ইভের ভিড়। কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের তরফে বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পার্ক স্ট্রিট দিয়ে যাঁরা হাঁটবেন, তাঁরা অ্যালেন পার্ক থেকে ডানদিকে বেঁকে ক্যামাক স্ট্রিট মি়ডলটন স্ট্রিট ধরে বেরোবেন। তবে আজ বিকেল থেকে রাস্তা বন্ধ হচ্ছে না। ভিড় কতটা হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবে পুলিশ। বড়দিনের জন্য নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে পার্ক স্ট্রিট। তৈরি হয়েছে ১১টি টাওয়ার। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ২টি QRT। পার্ক স্ট্রিট ও সংলগ্ন এলাকায় থাকছে ২০টি বাইক পেট্রোলিং। রয়েছে ১৬টি অ্যাসিস্ট্যান্ট বুথ। এছাড়াও, শহরের দর্শনীয় স্থানগুলির নজরদারির দায়িত্বে থাকবেন ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার অফিসাররা।