কলকাতা: 'নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের চার্জশিটের সরকারি অনুমোদন কী পর্যায়ে?'নবম-দশমের নিয়োগ মামলায় সিবিআইয়ের কাছে জানতে চাইল আদালত (Court)। ২০২২-এ মুখ্যসচিবের কাছে আবেদন, অনুমোদন না আসার দাবি সিবিআইয়ের। বারবার চিঠি দেওয়ার পরেও কারণও জানানো হয়নি বলে দাবি সিবিআইয়ের। কুন্তল, তাপস, কল্যাণময়-সহ ১৫জনকে আলিপুর কোর্টে (Alipore Court) পেশ করা হয়েছে।
নবম-দশমে চাকরির পরীক্ষায় ব্যাপক গরমিলের অভিযোগ
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের নবম-দশমে চাকরির পরীক্ষায় ব্যাপক গরমিলের অভিযোগ ওঠে। হাইকোর্টে সিবিআই (CBI) দাবি করেছিল, নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগে ৯৫২টি OMR শিট বিকৃত করা হয়েছে। অনেকে সাদা খাতা জমা দিলেও, SSC-র সার্ভারে কারও প্রাপ্ত নম্বর ৫০, কারও ৫২, কারও ৫৩ ! গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার হওয়া OMR শিটের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ৯৫২ জন চাকরি প্রাপকের মধ্যে ১৩ জন। মামলায় যুক্ত হতে চেয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে আবেদন জানিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
পুর-নিয়োগ দুর্নীতি
অপরদিকে, নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় সম্প্রতি পানিহাটি পুরসভায় (Panihati Municipality) নোটিস পাঠিয়েছিল CBI (CBI Sends Notice Panihati Municipality)। ডায়মন্ড হারবার, ব্যারাকপুর, বারাসাতের পর এবার সিবিআই স্ক্যানারে আসে পানিহাটি পুরসভা। নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় তৃণমূল পরিচালিত পানিহাটি পুরসভাকে নোটিস পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। ২০১২ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত পানিহাটি পুরসভায় কারা উপ-পুরপ্রধান ছিলেন? তাদের নাম, ফোন নম্বর ও ঠিকানা চেয়ে ই-মেল পাঠিয়েছিল সিবিআই।
কারা স্ক্যানারে ?
পুর-নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সম্প্রতি একাধিক পুরসভায় অভিযান চালিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বাড়িতে গিয়ে তল্লাশির পাশাপাশি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছলেন ED-র অফিসাররা। CBI জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছিলেন, পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী এবং কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র-সহ একাধিক তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান। এই আবহে এবার পানিহাটি পুরসভাকে নোটিস পাঠিয়েছিল সিবিআই।
আরও পড়ুন, ১৩ তেই সব শেষ, সপ্তম শ্রেণীর পড়ুয়াকে ছোবল 'চন্দ্রবোড়ার'
ED সূত্রে দাবি করা হয়েছিল, গত ১৯ মার্চ প্রোমোটার অয়ন শীলের সংস্থা ABS ইনফোজোনের সল্টলেকের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত প্রচুর নথি ও ওএমআর শিট উদ্ধার হয়েছিল। সূত্রের দাবি, বিভিন্ন পুরসভা থেকে কোটি কোটি টাকা তুলেছিলেন অয়ন শীল। রীতিমতো রেট বেঁধে পুরসভার বিভিন্ন পদে চাকরি বিক্রির তালিকা প্রকাশ করে ইডি। সম্প্রতি ED-সূত্রে দাবি করা হয়, বিভিন্ন পুরসভায় অবৈধভাবে চাকরি পেয়েছেন, এরকম দেড় হাজারের বেশি জনের নামের তালিকা তৈরি করেছে তারা। উত্তর ২৪ পরগনার একাধিক পুরসভার কর্মী ও আধিকারিকদের তলব।