কলকাতা: করোনা (COVID Cases) হানা দিয়েছে চিকিৎসক মহলেও। তাতে এ বার হাত শক্ত করল চিত্তরঞ্জন সেবাসদনও (Chittaranjan Seva Sadan Hospital)। সেখানে রোগী ভর্তিতে আপাতত নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত। জরুরি পরিস্থিতি ছাড়া রোগী ভর্তিতে লাগাম টানা হচ্ছে। আউটডোরে রোগী দেখার উপরও আপাতত লাগাম টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।


রাজ্যের অন্যান্য হাসপাতালের মতো, চিত্তরঞ্জন সেবাসদনেও থাবা বসিয়েছে করোনা। সেখানে ৩৬ জন চিকিৎসক করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন বলে খবর। তাতেই রোগী ভর্তিতেই রাশ টানার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


বড়দিন এবং বর্ষবরণের পর থেকেই রাজ্যে করোনা সংক্রমণ লাগাতার ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। ন্যাশনাল মেডিক্যালের ৮০ জন চিকিৎসক কোভিড পজিটিভ বলে জানা গিয়েছে। এনআরএস হাসপাতালে ইন্টার্ন, চিকিৎসক এবং নার্স মিলিয়ে ৭০ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে করোনা আক্রান্ত ৩৫জন চিকিৎসক।


আরও পড়ুন: Covid-19 : সংক্রমণের হার উদ্বেগজনক, কলকাতায় ২৫টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন


এ ছাড়াও, ঢাকুরিয়া আমরি হাসপাতালে এক সপ্তাহে ১০ জন সংক্রমিত। আর এন টেগোর হাসপাতালে এক সপ্তাহে ৫ জন সংক্রমিত। সিএমআরআই হাসপাতালে এক সপ্তাহে ৫ জন সংক্রমিত হয়েছেন।রাজ্যের একমাত্র সরকারি চক্ষু চিকিৎসাকেন্দ্রেও ১৫জন চিকিৎসক করোনায় সংক্রমিত।


এ ভাবে একের পর এক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে সংক্রমণের প্রকোপ দেখা দেওয়ায়, সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবায় সঙ্কটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। চিকিৎসকদের সংক্রমণ নিয়ে সোমবারই জরুরি বৈঠক করে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। 


এমন পরিস্থিতিতে সঙ্কট এড়াতে আপাতত রোটেশন ভিত্তিক রোস্টার তৈরি হয়েছে চিকিৎসকদের।হস্টেল থেকে বাড়ি যেতে  নির্দেশ দেওয়া হয়েছে চিকিৎসক পড়ুয়াদের।