সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: গরুপাচার মামলায় সুপ্রিম কোর্টে আপাতত স্বস্তি আব্দুল লতিফের। ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত গ্রেফতারি পরোয়ানার উপরে লতিফকে 'রক্ষাকবচ'। নিম্ন আদালতে আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য পরোয়ানা। গ্রেফতারি পরোয়ানার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন আব্দুল লতিফ। 'সিবিআইয়ের সঙ্গে সবরকম সহযোগিতা করছেন আব্দুল লতিফ', সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদনে সওয়াল আব্দুল লতিফের আইনজীবীর। '২৭ এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানি, তার আগে পরোয়ানা কার্যকর নয়', গরুপাচার মামলায় অভিযুুক্ত লতিফকে রক্ষাকবচ দিয়ে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের।


রাজু ঝা খুনের পর ঘটনাস্থলে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেলেও, আচমকা উধাও হয়ে যান গরুপাচারকাণ্ডের অভিযুক্ত আব্দুল লতিফ। রাজু খুনের সঙ্গে লতিফের কোনও যোগ রয়েছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। 


এই পরিস্থিতিতে, গরু পাচারকাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টে সাময়িক স্বস্তি পেলেন আব্দুল লতিফ। নিম্ন আদালত আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি করে। তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন জানান তিনি। 'সিবিআইয়ের সঙ্গে সবরকম সহযোগিতা করছেন আব্দুল লতিফ', জামিনের আবেদনে জানান আব্দুল লতিফের আইনজীবী।



এর আগে শোনা গিয়েছিল গরুপাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) আব্দুল লতিফকে এবার ফেরার ঘোষণা করতে পারে সিবিআই (CBI)। সিবিআইয়ের চার্জশিটে  নাম ওঠার পর, গরুপাচার মামলায় আসানসোলের (Asansol) সিবিআই স্পেশাল কোর্ট (cbi Special Court) আবদুল লতিফের বিরুদ্ধে জামিনঅযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। কিন্তু, আদালতে হাজিরা বা আত্মসমর্পণ কোনওটাই করেনননি লতিফ। এটা একেবারে এপ্রিলের প্রথম দিকে। তখনই শোনা গিয়েছিল, তাঁকে ফেরার ঘোষণা করে আদালতের নিয়ম মেনে তাঁর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে সিবিআই । 


দীর্ঘদিন ধরেই গরু পাচার মামলার তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হেভিওয়েট বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল। দীর্ঘদিন টানাপড়েনের পরে অনুব্রত এখন তিহারে। এই মামলায় আরও একাধিক লোকজন গ্রেফতার হয়েছে। প্রথম থেকেই গরু পাচার মামলায় নাম জড়িয়েছে আবদুল লতিফের। নাম জড়িয়েছে এনামুল হকেরও। গ্রেফতারও হয়েছেন। কিন্তু আবদুল লতিফ গ্রেফতার হয়নি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একাধিকবার ডাকাও হয়েছে তাকে। গরু পাচার মামলায় এক তৃণমূল বিধায়কেরও নাম জড়িয়েছে সম্প্রতি। বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার নামও উঠে এসেছে। শুধু নিয়োগ দুর্নীতি নয়, গরুপাচারেও (Cow Smuggling) নাম জড়িয়েছে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার। সিবিআইয়ের দাবি, গরুপাচার তদন্তে জীবনকৃষ্ণের বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহের কাজ আগেই শুরু হয়েছে। 


আরও পড়ুন: নিয়োগ-দুর্নীতিতে তাঁর হাত নেই! ফের বোর্ডের ঘাড়ে দায় ঠেলে দাবি পার্থর