কলকাতা : গরুপাচারকাণ্ডে (Cow Smuggling Case) শুধু কোম্পানি বা ট্রাস্টের মাধ্যমে নয়, কালো টাকা সাদা করতে একরের পর একর জমি কিনেছিলেন এনামুল হকের (Enamul Haque) তিন ভাগ্নে। এমনই দাবি করল সিআইডি (CID)। চার্জশিট ও কেস ডায়েরিতে একাধিক জমির উল্লেখ করা হয়েছে। 


চার্জশিটে সিআইডি দাবি করেছে, প্রভাব খাটিয়ে বাজার মূল্যের তুলনায় অনেক কম দামে জমি কিনেছিলেন এনামুলের ভাগ্নেরা। একাধিক কৃষি জমির চরিত্রও বদল করা হয়েছিল বলে সিআইডি-র অভিযোগ।


চার্জশিট সিআইডি-র


সূত্রের খবর, চার্জশিটে সিআইডি দাবি করেছে, এনামুল হকের তিন ভাগ্নে জাহাঙ্গির আলম, হুমায়ুন কবীর এবং মেহেদি হাসানের সংস্থা JHM গ্রুপ অফ কোম্পানিজের নামে প্রচুর জমি কেনা হয়েছিল। প্রচুর জমি কেনা হয়েছিল মুর্শিদাবাদ ও রাজারহাট-নিউটাউনে। তৈরি করা হয়েছিল ল্যান্ড ব্যাঙ্ক। স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে ট্রেড লাইসেন্স মিলেছিল বলে সিআইডি-র চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এনামুলের ভাগ্নেদের কোথায় কোথায় জমি রয়েছে তা নিয়ে খোঁজ চালাচ্ছে সিআইডি, এমনই খবর সূত্রের।


এনামুলের তিন ভাগ্নের আত্মীয়দের নামেও জমি কেনা হয়েছিল বলে সিআইডি সূত্রে দাবি। তাহলে কি গরু পাচারের টাকাই জমিতে বিনিয়োগ করা হয়েছিল ? সেই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে তদন্তকারীরা। CID সূত্রে দাবি, এনামুল হকের তিন ভাগ্নেকে বারবার তলব করার পরেও তাঁরা হাজিরা দেননি।


লটারি বিজেতাদের থেকে টিকিট কিনে গরু পাচারের টাকা সাদা করা হয়েছিল, এই সন্দেহে ইতিমধ্যেই বোলপুরের লটারি বিক্রেতাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। 


দিনকয়েক আগেই গরুপাচার মামলায় মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ACJM আদালতে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দেয় সিআইডি। সূত্রের খবর, চার্জশিটে নাম রয়েছে গরুপাচার মামলায় মূল অভিযুক্ত এনামুল হকের তিন ভাগ্নের। পাচারের টাকা কীভাবে ব্যবসায় বিনিয়োগ করা হয়েছে, সেই প্রসঙ্গও রয়েছে রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থার জমা দেওয়া চার্জশিটে।


গরুপাচার মামলায় একযোগে তদন্ত করছে দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা CBI ও ED। ইতিমধ্যে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনও এই মুহূর্তে দিল্লিতে ইডির হেফাজতে।


এই মামলায় ধৃত মূল অভিযুক্ত এনামুল হক বর্তমানে দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি।


আরও পড়ুন ; ফের বীরভূমে গরু পাচারের চেষ্টা, ২৮টি গরু-সহ ৩টি পিক আপ ভ্যান আটক