মেলবোর্ন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (T20 World Cup) ভারতের ব্যাটিং লাইন আপের অন্যতম সেরা মুখ মনে করা হচ্ছিল কে এল রাহুলকে (KL Rahul)। দলের সহ অধিনায়কও তিনি। কিন্তু ছন্দ হাতড়ে বেড়াচ্ছিলেন কর্নাটকের তারকা। বিশ্বকাপের প্রথম তিন ম্যাচে রাহুলের রান যথাক্রমে ৪, ৯ ও ৯। সব মিলিয়ে তিন ম্যাচে মোট ২২ রান করেছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ভারতের পরাজয়ের পর থেকে রাহুলকে প্রথম একাদশ থেকে বাদ দেওয়ার জোরাল দাবি তোলা হচ্ছিল বিভিন্ন মহল থেকে।


জবাব দিয়েছেন রাহুল। ফিরেছেন ছন্দে। বাংলাদেশে ও জিম্বাবোয়ে, পরপর দুই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে হাফসেঞ্চুরি করেছেন রাহুল। ফের তাঁকে প্রশংসায় ভরাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। রবিবার মেলবোর্নে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে হাফসেঞ্চুরির পর ম্যাচের সম্প্রচারকারী চ্যানেলে রাহুল বলছিলেন, 'টুর্নামেন্টের আগে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। আমি ভাল কয়েকটা ইনিংস খেলেছিলাম। ওয়ার্ম আপ ম্যাচেও ভাল খেলছিলাম। তাই প্রথম ২-৩ ম্যাচে রান না পেলেও নিজের দক্ষতায় আস্থা ছিল।' যোগ করেছেন, 'এটা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট। শুরুর দিকে সুযোগ নিতেই হবে। ভাল শুরু পেয়ে গেলে সেটাকে কাজে লাগাতেই হবে। মেলবোর্নের উইকেট খুব ভাল। পিচে পড়ে বল খুব ভালভাবে ব্যাটে আসছে। ১৮৬ এই পিচে খুব ভাল স্কোর।'


 






রবিবার মেলবোর্নে জিম্বাবোয়ের বোলিংয়ের সামনে ভারতের একের পর এক ব্যাটার যখন ফিরে যাচ্ছেন, আশঙ্কার মেঘ তৈরি হয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের মনেও।


সেই মেঘ যাতে প্রলয়ে পরিণত না হয়, হাফসেঞ্চুরি করে তা নিশ্চিত করলেন কে এল রাহুল। ওপেন করতে নেমে ৩৫ বলে ৫১ রান করলেন রাহুল। তারপর শুধু সৌরঝড়। চলতি ক্যালেন্ডার বর্ষে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এক হাজার রান হয়ে গেল মুম্বইয়ের তারকার। উইকেটের চারপাশে শটের বৈচিত্র্যের জন্য যাঁকে এ বি ডিভিলিয়ার্সের পর বিশ্বক্রিকেটের নতুন মিস্টার থ্রি সিক্সটি ডিগ্রি বলা হচ্ছে। রবিবার মেলবোর্নে রাহুলের হাফসেঞ্চুরির পরেও তখন চাপে ভারত। দেড়শো রান পেরবে কি না, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। কিন্তু সব হিসেব নিকেশ বদলে গেল সূর্যর দাপটে।


আরও পড়ুন: রাহুলের তৈরি ভিতের ওপর তাণ্ডব সূর্যের, জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ভারত তুলল ১৮৬/৫