কলকাতা: গরুপাচার মামলায় প্রতিক্রিয়া ফিরহাদের (Firhad Hakim on Cattle Scam)। এদিন ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'বিএসএফের মদতেই গরু পাচার। আমরা এতদিন ধরে যা বলে আসছি, সেটাই ইডির চার্জশিটে প্রমাণিত হয়ে গেল'।


'বিএসএফের যোগসাজশেই গরুপাচার করা হত।' কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে থাকা বিএসএফের বিরুদ্ধে দাবি কেন্দ্রীয় সরকারের আরেকটি সংস্থা ইডি। সূত্রের খবর, চার্জশিটে ইডি দাবি করেছে, গরুবোঝাই ট্রাকগুলিকে একটি টোকেন দেওয়া হত। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এই টোকেন দেওয়া হত, দাবি ইডি-র চার্জশিটে। কোথাও ট্রাক আটকালে, টোকেন দেখালেই সীমান্তে যাওয়ার সবুজ সংকেত মিলত।


সূত্রের খবর, চার্জশিটে ইডি-র দাবি করেছে, রাত ১১ থেকে ৩, এই ৪ ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশে গরুপাচার হত। এরজন্য মোটা অঙ্কের টাকা পৌঁছত বিএসএফের একাংশের কাছে, খবর সূত্রের। মুর্শিদাবাদ সীমান্তে বেশ কয়েকটি জায়গা ঠিক করা ছিল। যেখান দিয়ে নদী পথে বাংলাদেশে গরু পাচার হত, দাবি ইডি-র চার্জশিটে।


 ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কীভাবে গরুপাচার করা হত, তা বিস্তারিত নিজেদের চার্জশিটে দাবি করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বলা হয়েছে, বাংলাদেশে পাচারের জন্য বীরভূম থেকে গরু গুলিকে ট্রাকে তুলে, তা মুর্শিদাবাদ জেলার ওমরপুরে পাঠানোর দায়িত্ব ছিল এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত আব্দুল লতিফের ওপর।


ইডির চার্জশিটে দাবি, পাচারের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া গরুবোঝাই ট্রাকের চালকদের কাছে একটি নির্দিষ্ট টোকেন দেওয়া থাকত। রাস্তায় পুলিশ প্রশাসনের তরফে চেকিং হলে সেইসময় সেই টোকেন দেখালেই ছেড়ে দেওয়া হত ট্রাকগুলিকে। ফলে সেফ প্যাসেজের মধ্যে দিয়ে গরুবোঝাই শয়ে শয়ে ট্রাক পৌঁছে যেত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে।আর এখানেই অনুব্রত মণ্ডলের ভূমিকা ছিল বলে এর আগে একাধিকবার দাবি করেছে সিবিআই ও ইডি।


অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে গরুপাচারকারীরা তাঁর ফোনের মাধ্যমেই কথা বলত। গরুপাচার মামলায় চার্জশিটে অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি উল্লেখ করল ইডি। সূত্রের খবর, মোবাইলে আসা একাধিক ফোন কলের রেকর্ড নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে সায়গল দাবি করেন, একাধিক তৃণমূল বিধায়ক, নেতা, এমনকী পুলিশ অফিসাররাও অনুব্রতর সঙ্গে কথা বলার জন্য তাঁকে ফোন করতেন।


আরও পড়ুন, গরমে কোন সরবতগুলি না খেলেই নয় ? কোনগুলি খুবই স্বাস্থ্যকর ?


আরও পড়ুন, সবুজ পাতাজাতীয় সবজি Kale-র পুষ্টিগুণ, কী কী সমস্যার সমাধান করে?


 ইডি সূত্রের খবর, চার্জশিটের সঙ্গে জমা দেওয়া হয়েছে সায়গল ও গরু পাচারকারীদের সঙ্গে কথোপকথনের কল রেকর্ড। চার্জশিটে সায়গল হোসেনের দুটি ফোন নম্বরের পাশপাশি গরুপাচারকারীদের দুটি ফোন নম্বরের উল্লেখ করে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছে। আর এই তথ্য সামনে আসার পরই, এ নিয়ে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল। পাল্টা উত্তর এসেছে গেরুয়া শিবিরের তরফ থেকেও। অতীতে একাধিকবার গরুপাচারের নেপথ্যে BSF-কে কাঠগড়ায় তুলেছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।