তুহিন অধিকারী, বাঁকুড়া: গরু পাচারের (cow theft) মামলার তদন্তে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। তার মধ্যেই গোয়াল থেকে একের পর এক গরু চুরির অভিযোগে তোলপাড় বাঁকুড়ার (bankura) খিরি গ্রামে। আজ সকাল থেকে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এই চুরির সঙ্গে গরু পাচার চক্রের কোনও যোগ রয়েছে কিনা, তাও দেখা হচ্ছে। 


কী অভিযোগ?
বাঁকুড়ার কোতুলপুর থানার প্রান্তিক গ্রাম খিরি। গ্রামের অধিকাংশ পরিবারই কৃষিজীবী। ফলে প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই লাঙল টানার জন্য গরুর প্রতিপালন হয়। অধিকাংশ পরিবারেরই খোলা জায়গায় গোয়াল। এতদিন গ্রামে সে অর্থে কখনও গরু চুরির ঘটনা না ঘটায় নিশ্চিন্তে সেই খোলা গোয়ালেই গরু বেঁধে রাখতেন গ্রামের মানুষ। কিন্তু গত কাল রাত থেকেই হঠাৎ গণ্ডগোল। স্থানীয়দের দাবী,  রাত একটা-দেড়টার মাঝামাঝি দুষ্কৃতীরা একের পর এক বাড়ির গোয়ালে হানা দিয়ে চুপিসাড়ে মোট আটটি গরু খুলে নিয়ে যায়। তাঁদের ধারণা, গ্রামের অদূরে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে সেই গরু তুলে অন্যত্র নিয়ে চলে যায় দুষ্কৃতীরা। শুধু একটি ছোট ভুল। গাড়িতে যেখানে গরুগুলি বোঝাই করা হচ্ছিল, সেখানে ভুল করে দুষ্কৃতীরা একটি গরুকে বেঁধে রেখে চম্পট দেয়। আজ সকালে, স্থানীয়রা উঠে গোয়ালে গরুগুলিকে না দেখতে পেয়ে খোঁজ শুরু করেন। তখনই চোখে পড়ে গ্রামের অদূরে একটি ফাঁকা জায়গায় একটিই গরু বাঁধা রয়েছে। ঘটনাস্থলে ভেজা মাটিতে চাকার দাগ দেখে স্থানীয়দের ধারণা হয়, পিক আপ ভ্যান জাতীয় কোনও গাড়িতে তুলে গরুগুলিকে অন্যত্র পাচার করা হয়েছে। ঘটনাটি সামনে আসতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। স্থানীয়দের দাবী, এই গরু চোর-চক্রের সঙ্গে পাচারকারীদের যোগ থাকতে পারে। পুলিশ সব দিকই খতিয়ে দেখছে। 

গরু পাচার তদন্তে...
উল্লেখ্য, এবার গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডল, সায়গল হোসেনের ভূমিকা নিয়ে তদন্ত শুরু করল ইডি-ও। সূত্রের খবর, অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে নিজেদের হেফাজত নিতে আবেদন করেছে ইডি। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে এর মধ্যেই আবেদন জানিয়েছে ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, আসানসোল জেল থেকে তাঁকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেকট। গরু পাচারের টাকা কোথায় গেল, তারই হদিশ পেতে চাইছে ইডি। সূত্রে খবর, এর মধ্যেই সিবিআইয়ের কাছ থেকে সব রকম তথ্য় ও নথি সংগ্রহ করেছে ইডি। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, গরু পাচারের থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা পাচারকারীদের থেকে সায়গল হোসেনের মাধ্যমে অনুব্রত মণ্ডলের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল। সেই টাকা গেল কোথায়? জানতে আসানসোল জেল থেকে সায়গল হোসেনকে দিল্লি নিয়ে এসে জেরা করতে চান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। 


আরও পড়ুন:ফের নিয়োগ-দুর্নীতির অভিযোগ, জড়াল মন্ত্রীর নাম, এবার কোথায়?