শিলিগুড়ি : নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের (North Bengal University) উপাচার্য ও SSC-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে (Subiresh Bhattacharya) গ্রেফতার করেছে সিবিআই। গ্রেফতারির পরেও তিনি উপাচার্য পদ থেকে ইস্তফা দেননি। এই পরিস্থিতিতে আজ উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখায় সিপিএম। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয় সিপিএম কর্মীদের। ঘণ্টাখানেক ধরে চলে বিক্ষোভ।


যুবমোর্চার পর এবার সিপিএম-


নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে CBI গ্রেফতার করেছে সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে। যিনি একদিকে SSC’র প্রাক্তন চেয়ারম্যান (SSC Former Chairman), অন্যদিকে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। এমনকী নির্মীয়মাণ হিলস ইউনিভার্সিটির উপাচার্য পদেও তাঁর নাম ঘোষণা করে রেখেছে রাজ্য সরকার। গ্রেফতার হওয়ার পর এখনও উপাচার্য পদে রয়েছেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য। এই পরিস্থিতিতে তাঁর পদত্যাগের দাবিতে মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল বিজেপির যুব মোর্চা। এর পর আজ একই দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় সিপিএম।


তৃণমূলের জমানায় সবথেকে বেশিদিন SSC’র চেয়ারম্যান ছিলেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য। ২০১৪ থেকে ২০১৮ অবধি। যে সময়ে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। তার আগে পরে, আরও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য। একসময়ে তিনি শ্যামাপ্রসাদ কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। তৃণমূল জমানায় অধ্যক্ষ ও উপাচার্যের সংগঠনের শীর্ষপদও সামলেছেন। অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণভাবে এক ব্যক্তিকে এত দায়িত্ব দেওয়া নিয়েই সম্প্রতি প্রশ্ন তোলেন সৌগত রায় ! তবে তা করতে গিয়ে তিনি দায় ঠেলেছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, দুর্নীতির মামলায় ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দিকেই।


তিনি বলেন, একই লোক, তার কী মহৎ গুণ ? একইসঙ্গে উপাচার্য, এসএসসি-র চেয়ারম্যান আবার শ্যামাপ্রসাদ কলেজের অধ্যক্ষ পদও ছাড়েনি। এত ভরসা করার কী ছিল? কেন ওকেই ঠেলে সব পদ দেওয়া হল ? পার্টির প্রতি কোনও আনুগত্য ছিল বলে মনে হয় না ! ব্যক্তির প্রতি অনুগত্য ছিল। কে সে ? পার্থ চট্টোপাধ্যায় ? আর কে!


সুবীরেশের গ্রেফতারির পর সুর চড়িয়েছে বিরোধীরাও। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, "পার্থ চট্টোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জাল ডিলিট পেয়েছেন। যেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পেয়েছেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নিয়োগও দূরভিসন্ধিমূলক। উত্তরবঙ্গের উপাচার্যের নিয়োগও দূরভিসন্ধিমূলক। বিশ্ববিদ্যালয় ছিল শিক্ষার পীঠস্থান। মাস্টারমশাইয়রা যদি চুরি-জোচ্চুরিতে সামিল হয়ে যান, তাহলে নীতিশিক্ষা কে দেবেন ? উত্তরবঙ্গের মানুষকে বলব, দক্ষিণবঙ্গ-উত্তরবঙ্গ আলাদা নয়। একযোগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়তে হবে।"


আরও পড়ুন ; সুবীরেশ ভট্টাচার্যর পদত্যাগ দাবি, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ যুব মোর্চার