কলকাতা: কারখানা না হওয়ায় টাটাকে কয়েকশো কোটি টাকা দিতে হবে রাজ্যকে। এমনই রায় মধ্যস্থতাকারী ট্রাইবুনালের। এএনআই সূত্রে খবর, এমনটাই জানিয়েছে টাটা মোটরস (Tata Motors)। আর এই ঘটনার প্রসঙ্গেই রাজ্য প্রশাসন এবং তৃণমূলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন সিপিএম নেতা ও সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য (Bikash Ranjan Bhattacharyya)। তৃণমূলের কাজের কারণেই রাজ্যকে দেউলিয়া হতে হবে বলে দাবি তাঁর।


সিপিএম নেতা ও সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, 'রাজ্য সরকার দেউলিয়া হয়ে গেল। আজ টাটা মোটর্স এটা পেয়েছে। ইতিমধ্যে হলদিয়া নিয়েও প্রসূন চ্যাটার্জি গ্রুপ এই আর্বিট্রেশন অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন কয়েকহাজার কোটি টাকা। রাজ্য সরকারের অবিমৃষ্যকারিতায়। মমতা ক্ষমতায় আসার জন্য যত অপকর্ম করেছেন তার ক্ষত আস্তে আস্তে বেরচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ তো দেউলিয়া হয়ে গেল। এই সংস্থাগুলি যদি টাকা আদায়ের জন্য আইনি পদ্ধতিতে ডিক্রি জারি করে দখল নেয় তাহলে পশ্চিমবঙ্গের যা সম্পদ আছে সব চলে যাবে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে ভিক্ষাপাত্র হাতে নিয়ে দাঁড় করিয়ে দিল মমতার সরকার।' 



সিঙ্গুরে (Singur Land Case) কারখানা না হওয়ায় টাটাকে সুদসহ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে WBIDC-কে। কত টাকা দিতে হবে? ANI সূত্রের খবর, টাটা মোটরসকে সুদ সহ ৭৬৫ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকা দিতে হবে ডব্লুবিআইডিসি-কে। ২০১৬ সালে থেকে ১১ শতাংশ হারে সুদ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। টাকা দিতে দেরি হলে অতিরিক্ত সময়ের সুদ হিসেব করা হবে। এছাড়া, মামলার খরচের জন্য আরও ১ কোটি টাকা দিতে হবে ডব্লুবিআইডিসি-কে। বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে এই রায়ের কথা জানিয়েছে টাটা মোটরস।


 



এই বিষয়টি নিয়ে আগে থেকেই কথা উঠেছিল। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আগে থেকেই এই কথা উঠেছিল। রাজ্যের সঙ্গে যা চুক্তি হয়েছিল, তার ভিত্তিতেই কারখানা না হওয়ায় টাটা মোটরস ট্রাইবুনালে যায়। এই রায় রাজ্য সরকার মানছে না কি আদালতে চ্যালেঞ্জ করছে, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, তিন জনের প্যানেলে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই রায়ের বিরুদ্ধে রাজ্য আদালতে যেতে পারে।


আরও পড়ুন: 'সিঙ্গুরে কারখানা না হওয়ায় টাটাকে সুদসহ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ডব্লুবিআইডিসি-কে', রায় মধ্যস্থতাকারী ট্রাইবুনালের