কলকাতা: ফের পথে নামল বামেরা। বৃহস্পতিবার উল্টোডাঙা থেকে সিজিও কমপ্লেক্স ঘেরাও অভিযান সিপিএমের (CPIM)। দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের (Md. Selim) নেতৃত্বে মিছিলে বাম কর্মী ও সমর্থকরা। রাজ্যের বিভিন্ন দুর্নীতির (Recruitment Scam Case) তদন্তে গড়িমসির অভিযোগে সিজিও কমপ্লেক্স (CGO Complex) অভিযানের ডাক সিপিএমের।
মিছিলে যোগ দিয়ে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, 'অপরাধী নয়, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, বিরোধী দলের নেতা- তাঁদেরকে ইডি-সিবিআই-দিল্লি পুলিশ ধরছে। বিজেপি সরকারের নির্দেশে। অথচ যাঁদের হাইকোর্ট বলছে, ডেটের পর ডেট দিচ্ছে, তাঁদের ধরছে না। বোঝা যাচ্ছে বিজেপির নেতাদের এবং তৃণমূলের নেতাদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে। আর নিরপরাধ লোকেদের UAPA-তে ফাঁসাচ্ছে।' তাঁর আরও তোপ, 'বিজেপি অফিস যেমনটা বলছে তৃণমূল তেমনটা করেছে।'
সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর (Sujan Chakraborty) অভিযোগ, 'ইডি-সিবিআই অপরাধীদের সঙ্গে রয়েছে। তাদের ধামাচাপা দিচ্ছে। সমস্ত তথ্য় ইডি-সিবিআইয়ের কাছে আছে, কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না। যাঁরা দুর্নীতি মাথা, তাঁরা টাকা নিয়ে মাতব্বরি করে বেড়াবে, আর ইডি-সিবিআই চুপ করে থাকবে? কোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও। আমরা ইডি-সিবিআইয়ের কাছে জবাব চাই। মানুষ হিসেব চায়, মানুষ জবাব চায়।'
তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে খোদ আদালতই (High Court)। এর আগেও বিভিন্ন দুর্নীতির তদন্তে একাধিকবার আদালতের কাছে ভর্ৎসিত হয়েছে ইডি-সিবিআই। সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডিকে কড়া ভর্ৎসনার করার পরে ইডির তদন্তকারী অফিসার মিথিলেশ মিশ্রকে সরিয়ে দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
সম্প্রতি ইডির ভূমিকায় সন্দেহ প্রকাশ করে ডিভিশন বেঞ্চও। বিচারপতি সৌমেনে সেন প্রশ্ন করেছিলেন, 'সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ দেখে মনে হচ্ছে ইডি নবীশের মতো আচরণ করছে। হয় তারা এই তদন্তে নবীশ, না হলে তদন্তের নির্দিষ্ট অংশে ঢুকতে চায় না। ১৫ মাস ধরে তদন্ত অগ্রগতি না হলে আদালত কিছু বলতে পারবে না? তদন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে হচ্ছে কিনা, সেটা দেখাও আদালতের কাজ।'
আদালতের একাধিক মন্তব্য়ের প্রসঙ্গ টেনেই ইডি-সিবিআইকে নিশানা করেছে সিপিএম। পাশাপাশি বামেদের অভিযোগ, তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির আঁতাতের কারণেই ঢিলেমি দেওয়া হচ্ছে নিয়োগ দুর্নীতি-সহ অন্য মামলাগুলিতে। তৃণমূলের (TMC) নীচুতলার নেতাদের ধরেই তদন্ত ধামাচাপা দিতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা- এমনটাই অভিযোগ বামেদের।
আরও পড়ুন: ত্রাণ নিয়ে ক্ষোভ, বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে TMC সাংসদ