খানাকুল, হুগলি:


খানাকুল, হুগলি: বিক্ষোভের মুখে তৃণমূল সাংসদ (TMC MP) অপরূপা পোদ্দার। হুগলির (Hooghly) খানাকুলে (Khanakul) বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে আরামবাগের (Arambagh) তৃণমূল সাংসদ। বন্যা দুর্গত এলাকায় ত্রাণ পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। ত্রাণের দাবিতে সাংসদকে দেখে বিক্ষোভ স্থানীয়দের। 


খাবার মিলছে না বলে অভিযোগ, সেই অভিযোগেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন গ্রামবাসীরা। সাংসদকে দেখে বাসিন্দাদের অভিযোগ, তাঁদের শুধু পানীয় জলের পাউচ প্যাকেট দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আর কিছুই আসেনি, কোনও শুকনো খাবারও পাওয়া যায়নি। সাংসদ অপরূপা পোদ্দার তখন জিজ্ঞেস করে চিঁড়ে-মুড়ি কিছু মিলেছে কিনা, তখন গ্রামবাসীরা জানান, কোনওরকম শুকনো খাবারও মেলেনি। ক্ষোভের মুখে সাংসদ জানান, তাঁরা নিয়েই এসেছেন- বিডিও অফিস যেতে বলেন। তখন এক বাসিন্দাকে বলতে শোনা যায়, 'সবাই যাব। হেঁটে হেঁটে যাব। আমরা হেঁটে যাব- আপনারা গাড়িতে যাবেন তা হয় নাকি?'


খানাকুলের পোল এলাকায় এই বিক্ষোভ চলে। চারিদিক জলমগ্ন (West Bengal Flood Situation) থাকায় ওই এলাকায় মানুষ ঘরবন্দি হয়ে রয়েছে। গত তিন দিন ধরে এই পরিস্থিতি থাকলেও প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের দেখা পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ। খানাকুল ১ -এর বিডিও শান্তনু চক্রবর্তী ও অন্য আধিকারিকরাও এলাকা পরিদর্শন করেন। তাঁদের ঘিরেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন গ্রামবাসীরা। পানীয় জল ও ত্রিপলের দাবি জানান। ত্রাণ শিবিরের সংখ্যা বাড়ানোর দাবিও জানান হয়েছে। যদিও বিক্ষোভের কথা মানতে চাননি সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। তিনি বলেন, 'এটি ম্যান মেড বন্যা। ডিভিসি আলোচনা ছাড়াই জল ছাড়ছে। সমস্যায় পড়ছেন এই সব বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ।'


খানাকুলে মুন্ডেশ্বরীর জল উপচে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে একাধিক গ্রাম। কোথাও হাঁটু জল, কোথাও কোমর জল জমে রয়েছে। সেই অবস্থায় জল পেরিয়ে যাতায়াত চলছে। এখনও পর্যন্ত খানাকুলের দুটি ব্লকের প্রায় ১০ টি পঞ্চায়েতে জলমগ্ন পরিস্থিতি। জল ঢুকেছে একাধিক বাড়িতে। জল উঠেছে গ্রামের রাস্তা-সহ রাজ্য সড়কেও। বেশ কিছু নীচু এলাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ডুবে গেছে পানীয় জলের কল। ইতিমধ্যেই খানাকুল থেকে গড়েরঘাটগামী রাজ্য সড়কে জল ওঠায় ওই এলাকায় বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দুর্যোগের জন্য় দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।


আরও পড়ুন: তিস্তার জলে বানভাসি, ফসল নষ্টের আশঙ্কা কৃষকদের