গৌতম মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: পুকুরে (Pond) ঢুকে পড়ল কুমির (crocodile)। দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) পাথরপ্রতিমার দিগম্বরপুরের ঘটনায় ত্রাসের মেজাজ স্থানীয়দের মধ্যে। পরে বনকর্মীরা কুমিরটিকে জালবন্দি করে।


কী ঘটেছিল?
দিগম্বরপুরে পঞ্চমেরবাজার এলাকায় বাসুদেব ঘড়ার পুকুরে আজ সকালে কুমিরটিকে ভেসে থাকতে দেখেন এলাকারই কেউ কেউ। বিষয়টি চাউর হতে সময় লাগেনি। পাল্লা দিয়ে ছড়ায় আতঙ্কও। যার পর থেকেই পুকুরপাড়ে কাতারে কাতারে মানুষের ভিড়। শেষমেশ বন দফতরের রামগঙ্গা রেঞ্জে খবর পাঠানো হয়। বনকর্মীরা এসে জাল দিয়ে কুমিরটিকে বন্দি করেন। বনকর্মীদের ধারণা, পাশের জগদ্দল নদী থেকে কুমিরটি পুকুরে ঢুকেছিল। কিন্তু এভাবে মানুষের ব্যবহার্য পুকুরে তার ঢুকে পড়ায় আতঙ্কের আবহ সর্বত্র। ভবিষ্যতে যে এরকম আর কখনও ঘটবে না, সে বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা রয়েছে কি? প্রশ্ন করছেন স্থানীয়রাই।


নতুন নয়...
এর আগেও এই ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। গত বছর অক্টোবরে বাড়ির পুকুরে কুমির চলে আসায় আতঙ্ক ছড়িয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘিতে। খবর দেওয়া হয় বন দফতরে। অবশেষে বন দফতরের কর্মীরা কুমিরটিকে ধরে নিয়ে যান। সেটিকে ছাড়া হয় বনি ক্যাম্পের কাছে একটি খালে। স্থানীয় বাসিন্দা অনিল দাসের বাড়ির পুকুরে ঘটনার দিন সকালে কুমির দেখে প্রতিবেশীদের চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায়। এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে কুমিরের আতঙ্ক। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় বন দফতরে। চলে আসেন বন দফতরের কর্মীরাও। তারপর নানা কসরত করে জাল দিয়ে অবশেষে কুমিরটিকে বাগে আনা সম্ভব হয়েছিল। সেটিকে বন দফতরের কর্মীরা রায় দিঘির রেঞ্জ অফিসে নিয়ে যান। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডিএফও মৃণালকান্তি মণ্ডল বলেছিলেন, "কুমির সুস্থ রয়েছে। ওই জায়গায় বহু লোকের ভিড় হয়ে গিয়েছিল।" রেঞ্জ অফিসে কুমিরটির মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়। পর দিন ভোরে সুন্দরবনের বনি ক্যাম্পের কাছে ঠাকুরের জলে ছাড়া হয় কুমিরটিকে। তার পরেই বিশাল আকৃতির কুমির ধরা পড়ে মালদায়। দীর্ঘ ১৫ দিন বন দফতরের প্রচেষ্টার পর অবশেষে ধরা পড়ে বিশাল আকৃতির কুমির। সেই সময়ই মালদার মহানন্দা নদীতে দেখা যায় কুমিরের আতঙ্ক। অবশেষে ঘটনার দিন হবিপুর ব্লকের পুনরভবা নদী থেকে উদ্ধার করেন গাজল ফরেস্ট রেঞ্জের বন দফতরের কর্মীরা। কুমিরটি লম্বায় সাড়ে  ৯ ফুট এবং ওজন প্রায় ২০০ কেজি, বলে জানা গিয়েছে। 


আরও পড়ুন:ডিএ-র দাবিতে কর্মবিরতি, তালিকা দিয়ে একদিনের বেতন কাটার নির্দেশ