কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: বাঙালি বিজ্ঞানীদের (Bengal Scientist) জয়জয়কার। দেশের (India) সর্বোচ্চ বিজ্ঞান সম্মান ‘শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার’ (Shanti Swarup Bhatnagar Award) জয়ীদের তালিকায় ৪ বাঙালি বিজ্ঞানী। 


শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার পাচ্ছেন বিজ্ঞানী দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায়। ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ কেমিক্যাল বায়োলজির বিজ্ঞানী দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায়। বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ সায়েন্সেসের বিজ্ঞানী অনিন্দ্য দাস। বম্বে আইআইটির কেমিক্যাল বিভাগের বিজ্ঞানী দেবব্রত মাইতি। মুম্বইয়ের টাটা ইন্সটিটিউট অফ ফান্ডামেন্টাল রিসার্চের বিজ্ঞানী বাসুদেব দাশগুপ্ত।               


'দীর্ঘদিন পরে স্বাস্থ্য বিভাগে কেউ বাংলা থেকে পুরস্কৃত হল', বিজ্ঞানী দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা জানিয়ে বার্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।                                                         


২০২১ এর পর একবছর স্থগিত রাখার পর ২০২২ এর জন্য এই পুরস্কার ঘোষণা করা হল। ১২ জন তরুণ বিজ্ঞানীকে ভারতের বিজ্ঞান ক্ষেত্রে এই পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। CSIR-ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স কমিউনিকেশন অ্যান্ড পলিসি রিসার্চ (CSIR-NIScPR)-এর 'ওয়ান উইক ওয়ান ল্যাব' প্রোগ্রামের লঞ্চ ইভেন্টে এই ঘোষণা করেছে। কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (CSIR) এর প্রতিষ্ঠা দিবসে এই পুরস্কার দেওয়া হয়ে থাকে। এন কালাইসেলভি, ডিরেক্টর জেনারেল, কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (সিএসআইআর), নয়াদিল্লিতে সিএসআইআরের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডঃ জিতেন্দ্র সিং-এর উপস্থিতিতে ১২ জন পুরস্কার প্রাপকের নাম ঘোষণা করেন। 


ভাটনগর পুরষ্কার, CSIR-এর প্রথম ডিরেক্টর শান্তি স্বরূপ ভাটনাগরের নামানুসারে, প্রতি বছর সাতটি বৈজ্ঞানিক শাখায় দেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে- জীববিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত, পদার্থবিদ্যা, চিকিৎসা, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড আর্থ, বায়ুমণ্ডল, মহাসাগর এবং গ্রহ বিজ্ঞান - এ কাজ করা গবেষকদের ৫ লক্ষ টাকা নগদ দেওয়া হয় এই পুরস্কারের মাধ্যমে। ৪৫ বছরের কম বয়সিদের এই পুরস্কার দেওয়া হয়ে থাকে। 


আরও পড়ুন, অভিষেকের প্রতিশ্রুতি রেখে ধূপগুড়িকে মহকুমা করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা মমতার


এর আগে ২০২১-এ শান্তি স্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার পেয়েছিলেন চার বাঙালি বিজ্ঞানী। এঁরা হলেন, খড়গপুর আইআইটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং-এর অধ্যাপক দেবদীপ মুখোপাধ্যায়, বেঙ্গালুরুর জওহরলাল নেহেরু সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড সাইন্টিফিক রিসার্চের কণিষ্ক বিশ্বাস, মুম্বইয়ের টাটা ইনস্টিটিউট অফ ফান্ডামেন্টাল রিসার্চের অনীশ ঘোষ এবং পুণের ইন্টার ইউনিভার্সিটি সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের কনক সাহা।