কলকাতা: ধূপগুড়ি (Dhupguri) আলাদা মহকুমা হবে। উপনির্বাচনের (By Election) প্রচারে গিয়ে প্রতিশ্রুতির আদলে কার্যত ঘোষণা করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যের বিরোধীরা। তাঁদের প্রশ্ন ছিল, আলাদা মহকুমা তৈরির সিদ্ধান্ত তো সরকারের নেওয়ার কথা! অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য সরকারের কে? তবে বিদেশ সফরের আগে সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানিয়ে দিলেন, 'ধূপগুড়ি মহকুমা হচ্ছে'।
অভিষেকের ঘোষণার পরেই ধূপগুড়িকে মহকুমা করার সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভার, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'ধূপগুড়ি মহকুমা হচ্ছে, এটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে'। প্রসঙ্গত, ধূপগুড়িকে আলাদা মহকুমা হিসেবে ঘোষণার দাবি অনেকদিনের ছিল। উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে অভিষেকের প্রতিশ্রুতি ছিল, '৩১ ডিসেম্বরের মধ্য়ে আলাদা মহকুমা হবে ধূপগুড়ি'। মঞ্চ থেকে নিজেই বেঁধে দিয়েছিলেন ডেডলাইন।
তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মঞ্চ থেকেই বলেছিলেন, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্য়ে ধূপগুড়ি মহকুমা হবে। আমি বলতে পারতাম, একবছর বা দেড় বছরে হবে। আমি বলতে পারতাম কীভাবে করা যায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করব। আমি বলছি হবে, করে দেখাব, প্রতিশ্রুতি কাঁধে তুলে নিয়ে যাচ্ছি।
এদিকে, উপনির্বাচনে ধূপগুড়ি পুনরুদ্ধার তৃণমূলের। বিজেপিকে হারিয়ে ধূপগুড়ি দখল করেছে শাসকদল। প্রার্থী বাছাই থেকে ভোট পরিচালনা, পুরোটারই দায়িত্বে ছিলেন অভিষেক। তবে, কি তাঁর কৌশলেই বাজিমাত করেছে তৃণমূল? এমনই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। বিজেপির হাত থেকে তৃণমূল ধূপগুড়ি ছিনিয়ে নেওয়ার পর উঠে আসছে এমনই তত্ত্ব। ধূপগুড়ির জয়ের পর সেকথা স্বীকারও করে নিয়েছিলেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। নির্বাচন রেজাল্ট শেষে তিনি বলেছিলেন, অভিষেককে শুভেচ্ছা। উনিই ঠিক'।
আরও পড়ুন, রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদল, দায়িত্ব বাড়ল কাদের? দফতর হারা কে কে?
অন্যদিকে, ধূপগুড়িতে পরাজিত প্রার্থী তাপসী রায় জানিয়েছিলেন, অভিষেকের মিথ্যে ধূপগুড়িকে মহকুমা করার প্রতিশ্রুতির কাছে হেরে গেলাম। সেই সময় সরব হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি বলেছিলেন, 'ভাইপোর বড় বড় কথা। ধূপগুড়িতে গিয়ে বলছে মহকুমা করব। কে হরিদাস পাল তুমি, কে তুমি সরকারের। নির্বাচনী বিধিভঙ্গ, উনি বলার কেউ নন। ২০২১ সালে দাঁড়িয়েছিল মিতালি রায়, বলেছিল ধূপগুড়িকে মহকুমা করবো। করেনি। তৃণমূলে কেই সত্যি কথা বলে না।'
যদিও এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণার পর কী বার্তা দেয় বিরোধীরা সেদিকেই নজর থাকছে সকলের।