কলকাতা: রাজভবনে কর্মরত মহিলা শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছেন তাঁর বিরুদ্ধে। এবার সেই অভিযোগের তদন্তের দায়িত্বে থাকা পুলিশ আধিকারিকের অপসারণ চাইলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ। ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে তদন্ত চলছিল। সেই ইন্দিরারই অপসারণ চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিলেন রাজ্যপাল। পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েলেরও অপসারণ চেয়েছেন তিনি। (CV Ananda Bose)


এ নিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, "রাজ্যপাল এত উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছেন কেন? ওঁর বিরুদ্ধে একজন মহিলা অভিযোগ করেছেন। আইন অনুযায়ী তার তদন্ত হওয়া উচিত কি না? যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি আইনি রক্ষাকবচ নিয়ে বসে থাকবেন, তার পর তদন্তকারীকে সরিয়ে দিতে বলবেন, এটা কি দেশের আইন? এটা কি মেনে নেওয়া যায়?" (Vineet Goyal)


জয়প্রকাশ আরও বলেন, "রাজ্যপালের আচরণ নিয়ে, তাঁর চরিত্র সম্পর্কে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। রাজভবন থেকে কাঁদতে কাঁদতে বেরোতে দেখা গিয়েছে ওই তরুণীকে। কেন রাজভবন থেকে কাঁদতে কাঁদতে বেরোতে হবে?  নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে তদন্তের সম্মুখীন হচ্ছেন না কেন উনি? কেন এত ভয়? তদন্তকারী অফিসারের অপসারণ চাইছেন এখন। বোঝাই যাচ্ছে, উনি দোষী। শালীনতা নষ্ট করেছেন। আচরণ ঠিক ছিল না ওঁর। বয়স্ক মানুষ হিসেবে ওঁর এই আচরণ ঘৃণ্য। আমরা এর তীব্র নিন্দা করছি। এই রাজ্যপালের অপসারণ চাইছি আমরা।"


আরও পড়ুন: Weather Forecast: নিম্নচাপ-মৌসুমী বায়ুর জোড়া ফলা, কাল থেকেই বাড়বে বৃষ্টির দাপট?


দুই বিজয়ী তৃণমূল বিধায়ক, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রেয়াত হোসেন সরকারের শপথ নিয়ে রাজ্য এবং রাজ্যপালের সংঘাত চরম আকার ধারণ করেছে। সেই আবহেই কেন্দ্রকে চিঠি দিয়ে একাধিক অভিযোগ করেছেন রাজ্যপাল। তাঁর দাবি, দুর্নীতি, সন্ত্রাস এবং আয়ের থেকে বেশি ব্যয়, মানুষের টাকা আত্মসাতই রাজ্য সরকারের বৈশিষ্ট্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মানহানির মামলার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। মামলা দায়েরর প্রস্তুতিও রাজ্যপাল শুরু করে দিয়েছেন বলে খবর মিলছে।


রাজ্যপালের অভিযোগ, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য রাজ্যে খরচ খুব কঠিন। সাধারণ মানুষের টাকা নয়ছয় করছেন যারা, তাদের কড়া মূল্য চোকানো উচিত। এর পাল্টা, রাজ্যপালকে বিশ্বাসঘাতক বলে নিশানা করেছে তৃণমূল। দলের নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, "নজর ঘোরাতে এি ধরনের প্রচার করছে রাজভবন।" সব মিলিয়ে তুঙ্গে উঠেছে সংঘাত।