কলকাতা : বঙ্গোপসাগরে দানা বাঁধল ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার ভোরের মধ্যে পুরী-সাগরদ্বীপের মাঝে ল্যান্ডফলের সম্ভাবনা। তার আগে থেকেই মোকাবিলার প্রস্তুতি দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায়।  কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে ৩ দিন ধরে দুর্যোগের আশঙ্কা করা হচ্ছে।  আজ থেকে শনিবার পর্যন্ত কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি-সহ ৯ জেলার সব স্কুল বন্ধ। ক্লাস হবে না কলেজেও। আগে থেকেই সতর্ক হচ্ছে কলকাতা পুলিশও। বিদ্যুতের সংযোগ সংক্রান্ত সমস্যা সামলাতেও বিশ্ষ ব্যবস্থা রাখছে বিদ্যুৎ দফতর। 


ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে কলকাতাতেও দুর্যোগের আশঙ্কা করছেন আবহবিদরা। তাই প্রস্তুত পুলিশ-প্রশাসন। এর আগেও ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতিতে দিকে দিকে গাছ ভেঙে পড়া, বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়া, তার ছিঁড়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। এরকম পরিস্থিতির মোকাবিলায় বুধবার থেকেই কন্ট্রোল রুম খুলছে লালবাজার। প্রশাসন সূত্রে খবর ঝড়ের তাণ্ডবের মুখে মানুষ যাতে অসুবিধেয় না পড়ে , তার জন্য প্রস্তুত রয়েছে কলকাতা পুলিশ, পুরসভা, NDRF. বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৪টি দলকে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। বাবুঘাটে সকাল থেকেই মাইকে সতর্কবার্তা প্রচার করছে পুলিশ।


ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় তৎপর বিদ্যুৎ দফতরও। আম্ফানের সময় দিকে দিকে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল বিদ্যুৎ পরিষেবা। একেক জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক করতে লেগে গিয়েছিল ২-৩ দিন।  অতীতের অভিজ্ঞতা মাথায় রেখেই এবার বিদ্যুৎ দফতর ও CESC-র আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। বিভিন্ন জেলার বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকরা এদিন ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন । ঘূর্ণিঝড়ের সময় কলকাতা-সহ প্রতিটি জেলায় পর্যাপ্ত কর্মী ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম মজুত রাখার নির্দেশ দেন মন্ত্রী। এছাড়া হেল্প লাইন চালু করেছে WBSEDCL ও CESC । WBSEDCL-এর হেল্পলাইন নম্বর 89007-93503 ও 89007-93504 । CESC-র হেল্পলাইন নম্বর 033-3501-1912, 033-4403-1912, 18605001912 ও 1912 । 


এদিকে রেলের শিয়ালদা ডিভিশনে খোলা হয়েছে বিশেষ কন্ট্রোল রুম।  দমকলের তরফে খোলা হচ্ছে ৮৫ টি কন্ট্রোল রুম।  দুই মেদিনীপুর, ২ চব্বিশ পরগনা, ঝাড়গ্রাম ও কলকাতার পরিস্থিতির ওপরেই মূলত নজর রাখছে দমকলের বিভিন্ন টিম। আকাশপথে ও ভেসেলের মাধ্যমে একাধিক জায়গায় নজরদারি চালাচ্ছে উপকূল রক্ষী বাহিনী।  


আরও পড়ুন :


লক্ষ্মীবারেই তাণ্ডব চালাতে পারে 'দানা', লাল সতর্কতা জারি কলকাতায় ! প্রথম ধাক্কা কোথায়?