অনির্বাণ বিশ্বাস, ওড়িশা: ওড়িশার (Odiaha) ধামারা ও ভিতরকণিকার মধ্যে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় দানা। ঝড়ের দাপটে ভিতরকণিকা জাতীয় উদ্যানের একাধিক গাছ ভেঙে পড়েছে। ঝড়-বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে বেশিরভাগ ধান জমি। লক্ষ লক্ষ টাকার ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন চাষিরা।
ওড়িশার ভিতরকণিকা বিখ্যাত ম্যানগ্রোভ অরণ্যের জন্য। ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে জাতীয় উদ্যান জনপ্রিয় ভারতের মিনি অ্যামাজন হিসাবে। নোনা জলের কুমির, ভারতীয় অজগর, হলুদ কচ্ছপ, ভারতীয় কোবরার দেখা মেলে এখানে। বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, বুনো শুয়োর, লাল বাঁদর, চিতল হরিণও পাওয়া যায় এই জাতীয় উদ্যানে। রয়েছে ক্রোকোডাইল ফার্মও। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এই জাতীয় উদ্যানের কতটা ক্ষতি হবে সেই নিয়ে চিন্তায় ছিলেন উদ্যানের কর্মী থেকে ওড়িশা প্রশাসন সকলেই। ঝড়ের দাপটে বেশ কিছু গাছ ভেঙে পড়লেও ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই এড়ানো গেছে বলে মনে করছেন উদ্যানের কর্মীরা। তবে এতবড় জায়গায় কোথায় কত ক্ষতি হয়েছে, পুরোটা বুঝতে কিছুদিন সময় লাগবে বলে মনে করছেন তাঁরা।
ভিতরকণিকার বেশিরভাগ মানুষই কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত। ঝড়ে বহু ধান গাছ নুইয়ে পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। লক্ষ লক্ষ টাকার ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। ঝড়ের দাপটে বেশ কিছু বাড়িরও ক্ষতি হয়েছে। অনেক জায়গায় রাস্তার উপর গাছ উপড়ে পড়েছে। তবে বিক্ষিপ্ত ক্ষয়ক্ষতি হলেও, দানার দাপটে যে ভয়াবহ ক্ষতির আশঙ্কা করা হয়েছিল, তার অনেকটাই এড়ানো গেছে বলে মনে করছে ওড়িশা প্রশাসন।
এদিকে ২০০৯ সালে আয়লা, কিংবা ২০২০ সালে আমফান কলকাতা এবং জেলাজুড়ে প্রবল তাণ্ডব চালিয়েছিল। ২০২১ সালে ইয়াস কলকাতায় সেরকম প্রভাব না ফেললেও, উপকূলে সমুদ্রকে উত্তাল করেছিল। কিন্তু, দানার প্রভাবে কোথাও সেরকম কিছুই হয়নি। আবহবিদদের মতে, ল্য়ান্ডফলের সময় আমফানের যে গতি ছিল, দানার গতি তার ধারেকাছেও ছিল না। আর আয়লা এবং আমফানের মতো দানার অভিমুখ রাজ্য়ের দিকে ছিল না। এই কারণেই বাংলায় তার সেরকম কোনও প্রভাব দেখা যায়নি।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Howrah Waterlog: সকাল থেকে প্রবল বর্ষণ, জলমগ্ন হাওড়া শহর, বিপাকে স্থানীয়রা