সুনীত হালদার, হাওড়া: আশঙ্কা থাকলেও ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র বিশেষ প্রভাব পড়ল না বাংলায়। গতকাল রাতে ওড়িশার ধামারার কাছে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড়। তবে এদিন সকাল থেকেই শুরু হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। আর তাতেই জলমগ্ন বিভিন্ন এলাকা। যার মধ্যে রয়েছে হাওড়া শহরও। 


জলমগ্ন হাওড়া: ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে সকাল থেকে দফায় দফায় প্রবল বৃষ্টি। এর জেরে জলমগ্ন হাওড়া শহরের বড় অংশ। হাওড়া শহরের কমপক্ষে ১৫ টি ওয়ার্ডে জল দাঁড়িয়ে যায়। কোথাও গোড়ালি সমান আবার কোথাও হাঁটু সমান জল জমে যায়। সালকিয়া, বেলগাছিয়া, টিকিয়াপাড়া, রামরাজাতলা, হাওড়া ময়দান এবং দাসনগর চত্বরের মূল রাস্তাগুলিতে জল দাঁড়িয়ে যায়। এর ফলে নাকাল হন পথচারীরা। আগাম ঝড় ও বৃষ্টির পূর্বাভাসের কারণে বিপর্যয় মোকাবিলায় হাওড়া পুরসভায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়। বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা কন্ট্রোল রুমে ফোন করে জল জমার কথা জানাচ্ছেন। হাওড়া পুরসভা থেকে বলা হয়েছে তিনটে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন পাম্প ছাড়াও বিভিন্ন পাম্প হাউজের ৭০টি পাম্প চালানো হবে যাতে জল দ্রুত নেমে যায়। কর্তৃপক্ষের আশ্বাস গঙ্গার জলস্তর কমলে অতিরিক্ত পাম্পের সাহায্যে জমা জল নামিয়ে দেওয়া হবে।


ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র দাপট বাংলায় তেমন ভাবে পড়েনি। কিন্তু রাত থেকে টানা বৃষ্টিতে ভাসল কলকাতা। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব থেকে রেহাই পেলেও, কলকাতায় সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। যার ফলে শহরের বেশ কয়েকটি জায়গায় জল জমে যায়। ঠনঠনিয়া কালী মন্দিরের সামনে জমে যায় হাঁটু-সমান জল। ৩টি সুপার সাকশন মেশিন দিয়ে সকাল থেকে জল নামানোর ব্যবস্থা করেন কলকাতা পুরসভার কর্মীরা। জল জমে যায় বউবাজারে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ ও বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে। হসপিটাল রোডে জল জমে যাওয়ায় তৈরি হয় যানজট। মধ্য কলকাতার লোয়ার রডন স্ট্রিটে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়ির আশেপাশের রাস্তা পরিণত হয় নদীতে। জল জমে যায় পার্ক সার্কাস সেভেন পয়েন্টের কাছে ব্যস্ত রাস্তায়। বেহালার শকুন্তলা পার্ক। বৃষ্টি হলেই চিন্তা বাড়ে বাসিন্দাদের।                       


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।    


আরও পড়ুন: Cyclone Dana: দানার দৌরাত্ম্য বিপর্যয়, জলের তলায় ধান জমি, মাথায় হাত কৃষকদের