অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা : এতদিন ঘূর্ণিঝড় সেনিয়ার নিয়ে চলছিল চর্চা। এবার সেই ঘূর্ণঝড় শক্তি হারাতেই আরেক ঘূর্ণিঝড় শিরোনামে। নতুন করে এক ঘূর্ণিঝড় তৈরি হচ্ছে বঙ্গোপসাগরে। এবার তৈরি দেতোয়া। শ্রীলঙ্কা উপকূল থেকে এর অভিমুখ হবে পন্ডিচেরির দিকে। ঘূর্ণিঝড় সেনিয়ার কি বাংলায় প্রভাব ফেলবে ? এই নিয়ে চর্চা ছিল তুঙ্গে। এবার চর্চা দেতোয়া নিয়ে। আবহবিদরা যদিও বলছেন, এর সরাসরি কোনো প্রভাব নেই বাংলায়। তবে হাওয়ার গতি পরিবর্তন হতে পারে।
নতুন করে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছে শ্রীলঙ্কা উপকূলে। দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া (DITWAH)। নাম দিয়েছে ইয়েমেন। এটি উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিকে এগিয়ে তামিলনাড়ু পন্ডিচেরি উপকূলের দিকে এগোবে। পন্ডিচেরি উপকূল থেকে ৫০০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে রয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে এটি আরো শক্তিশালী হবে। রবিবার সকালে এটি উত্তর তামিলনাডু উপকূল পন্ডিচেরি এবং দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছবে। পন্ডিচেরি উপকূলের কাছাকাছি স্থলভাগে প্রবেশের সম্ভাবনা।
মালাক্কা প্রণালীতে তৈরি ইন্দোনেশিয়া উপকূলের ঘূর্ণিঝড় সেনিয়ার (SEN-YAAR) স্থলভাগে ঢুকে শক্তি হারিয়েছে। এটি পূর্ব দিকে এগিয়ে মালয়েশিয়া উপকূলে সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। তাই আপাতত ঘূর্ণিঝড় সেনিয়ার নিয়ে আর কোনও চিন্তা নেই।
আবহাওয়া বিভাগ সূত্রে খবর, ২৮ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বরের পর্যন্ত পুদুচেরিতে কমলা সতর্কতা জারি করেছে। প্রশাসন বাসিন্দাদের দরকার ছাড়া বাইরে না বেরোনোর পরামর্শ দিয়েছে। দুর্যোগের সময় গাছ, ল্যাম্পপোস্ট থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সতর্ক করা হয়েছে, যেন পুরানো বাড়ির ভেতরে দুর্যোগের সময় কেউ আশ্রয় না নেন। অভিভাবকদের অনুরোধ করা হয়েছে, ওই সময় যেন শিশুদের খোলা জায়গায় যেতে না দেওয়া হয়। হেল্পলাইনও চানু করেছে প্রশাসন। ১০৭৭, ১০৭০ অথবা ১১২ নম্বরে জরুরি প্রয়োজনে ডায়াল করা যেতে পারে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের হোয়াটসঅ্যাপ হেল্পলাইন ৯৪৮৮৯ ৮১০৭০। প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কার আবহাওয়াও খুব দুর্যোগপূর্ণ। তিন দিন ধরে টানা বৃষ্টি চলছে সেখানে। বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনাও ঘটেছে একাধিক জায়গায়। মারা গিয়েছেন ৪৭ জন। সব স্কুল ও কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে। সাতটি জায়গায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।