বিধানসভা ভোট আসতে এখনও ঢের দেরি।  কোথাও তৃণমূলের বুথ সভাপতিকে মারধরের অভিযোগ উঠল প্রাক্তন বুথ সভাপতির অনুগামীদের বিরুদ্ধে। কোথাও আবার তৃণমূলের প্রধানকে লক্ষ্য করে গুলি। ভোট ঘোষণাই হয়নি। তাতেই ঝরছে রক্ত। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে শোনা যাচ্ছে তৃণমূলের অন্দরেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা। বৃহস্পতিবার বীরভূমের পাড়ুইয়ে তৃণমূলের বুথ সভাপতিকে মারধরের অভিযোগ উঠল দলেরই প্রাক্তন বুথ সভাপতির অনুগামীদের বিরুদ্ধে। আহত বুথ সভাপতি ভর্তি হাসপাতালে। আর এদিনই রাতে হাওড়ায় গুলিবিদ্ধ হলেন তৃণমূল নেতা। হাওড়ার বালির সাঁপুইপাড়া বসুকাঠি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধানকে লক্ষ্য় করে চলল এলোপাথাড়ি গুলি।

Continues below advertisement

তৃণমূল নেতাকে গুলি

রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ষষ্ঠীতলা মালিবাগান এলাকায় বিয়ে বাড়ি থেকে বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান দেবব্রত মণ্ডল ওরফে বাবু। সঙ্গে ছিলেন সঙ্গীরাও। বাইকের পিছনেও ছিলেন একজন। বাড়ি ফেরার পথ। এই এলাকা তাঁর নখদর্পণে। সেখানে নিজের এলাকাতেই গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গেলেন তৃণমূল নেতা। তাঁকে এবং তাঁর সঙ্গীকে লক্ষ্য় করে গুলি ছোড়া হয় বলে অভিযোগ।  কোমরে এবং হাতে গুলি লাগে তৃণমূল নেতার। গুলিবিদ্ধ হন সঙ্গীও। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে পাঁচটি কার্তুজ। 

Continues below advertisement

গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে বেলুড় স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় গোলাবাড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতে তৃণমূলের প্রধান দেবব্রত মণ্ডলের অবস্থার আরও অবনতি হলে তাঁকে  এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।  

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে আহত তৃণমূল নেতা

অন্যদিকে বীরভূমে, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে আহত তৃণমূল নেতা চিকিৎসাধীন হাসপাতালে। পাড়ুইয়ের সাত্তোর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন বুথ সভাপতি বাবর আলি। কয়েকমাস আগে দুর্নীতির অভিযোগে তাঁকে বুথ সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। নতুন বুথ সভাপতি করা হয় শেখ আকবর আলি-কে। অভিযোগ, বোলপুরের বিধায়ক ও কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিন্হার নিয়োগ করা বুথ সভাপতি শেখ আকবরকে মানতে নারাজ দলেরই একাংশ। আর বুধবার, এই শেখ আকবর আলির ওপরেই চড়াও হয় বাবর আলির অনুগামীরা। এই ঘটনায় এফআইআর দায়ের হলেও কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।  

মালদায় তৃণমূলকর্মী খুন তৃণমূলকর্মীর হাতেই ?

অন্যদিকে বৃহস্পতিবার মালদায় ঘটে গেল আরও এক সাঙ্ঘাতিক ঘটনা। ইতিমধ্যেই লাঠি-ধারালো অস্ত্র হাতি দাপাদাপির ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তাতে একপক্ষের ওপর অস্ত্র নিয়ে ঝাপিয়ে পড়তে দেখা যাচ্ছে আরেকপক্ষকে। মালদার কালিয়াচকে জমি নিয়ে তৃণমূলেরই দুই গোষ্ঠীর ঝামেলাকে ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিবাদ মেটাতে তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত সদস্যের ডাকা সালিশি সভার শেষে পিটিয়ে খুন করা হয় এক তৃণমূল কর্মীকে। গণ্ডগোলে আহত হওয়া আরও ১ তৃণমূলকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। ২ মৃত তৃণমূলকর্মীর নাম এক্রামুল শেখ, বাদশা শেখ।