কলকাতা : সত্যিই কি চোখ রাঙাচ্ছে ফেঙ্গাল?  ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়?  তার জের এবার দক্ষিণভারতের পূর্বের রাজ্যগুলিতে পড়বে ? তবে ঘূর্ণিঝড তৈরি হোক, বা না হোক, তার প্রভাব যে বাংলায় বিরাচ কিছু পড়বে না। শনিবার থেকে সোমবার এর মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাতেও। বঙ্গের উপকূলবর্তী চার জেলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে । আকাশ মেঘলা থাকবে এই ৩ দিন। 


ফেঙ্গাল আজই ঘনীভূত হতে পারত সাগরে । তবে তা সম্ভবত তৈরি হচ্ছে না। বরং তা শক্তি হারিয়ে সাধারণ নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।  এরপর তার সরাসরি প্রভাব পড়বে  তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরির কিছু অংশে । এর জেরে শুক্রবার থেকেই তুমুল বৃষ্টি হতে পারে দুই রাজ্যের উপকূল এলাকায়। আগাম সতর্কতা হিসেবে,  স্কুল ও কলেজগুলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।  ভারী বৃষ্টিপাতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যস্তও হতে পারে। 


শুক্রবার চেন্নাই, চেঙ্গলপাট্টু এবং কুড্ডালোরে স্কুল ও কলেজ বন্ধ থাকবে। অন্যদিকে পুদুচেরিতে শুক্র ও শনিবার বন্ধ থাকবে। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) অনুসারে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপটি তৈরি হয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তবে তা আর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।


এর সরাসরি প্রভাব পশ্চিমবঙ্গে না-পড়লেও শীতের আমেজে কিছুটা কাঁটা পড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে। বেশ কিছুটা বেড়েছে বঙ্গের তাপমাত্রা। নভেম্বরের শেষ দু দিন তাপমাত্রা এইরকম থাকবে। মেঘলা আকাশ থাকলেই তাপমাত্রা বাড়ে, এক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে তেমনটাই। 


সিস্টেমের প্রভাবে বঙ্গে বেড়েছে  রাতের তাপমাত্রা। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই আবার পারা পতনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সকালের দিকে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকবে সব জেলাতেই । বেলা বাড়লে কুয়াশার জাল ছিঁড়ে সূর্য উঠবে । কয়েকটি জেলায় মাঝারি কুয়াশার সতর্কতা রয়েছে। সপ্তাহান্তে বৃষ্টি হতে পারে উপকূলের চার জেলাতে। ২৯ নভেম্বর শুক্রবার থেকে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতে। ৩০ শে নভেম্বর শনিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। পয়লা ডিসেম্বর রবিবার হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতে।


আবহবিদরা মনে করছেন, ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত না হয়ে, শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপ রূপে স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে সিস্টেমটি। তামিলনাড়ু ও পুদুচেরি উপকূলের মাঝে মহাবলীপুরমের কাছাকাছি দিয়ে এটি স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে।  সেই সময় এই সিস্টেমের গতিবেগ থাকবে সর্বোচ্চ ৬৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়। অন্যদিকে নতুন করে উত্তর পশ্চিম ভারতে আসছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা।  ২৯ শে নভেম্বর শুক্রবার পশ্চিমী ঝঞ্ঝা আসার সম্ভাবনা বেশি।  


আরও পড়ুন : 


চিন্ময়কৃষ্ণ কেউ নন ইসকনের? তাঁর আন্দোলনে কি পাশে আছে তারা? স্পষ্ট জানাল ইসকন