কলকাতা: আগামী সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সতর্কতার পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত থেকে নিম্নচাপ, সোমবার সকালে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। শনিবার সুস্পষ্ট নিম্নচাপ এবং রবিবার গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে, জানাল হাওয়া অফিস।                                                                 

Continues below advertisement

মৌসম ভবনের তরফে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ থাকবে পশ্চিম উত্তর-পশ্চিম দিক। ২৮ অক্টোবর মঙ্গলবার থেকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ। ২৭ অক্টোবরের মধ্যে উপকূলে ফিরে আসতে পরামর্শ আবহাওয়া দফতরের। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে কাল উত্তরবঙ্গে হালকা-মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। যদি এই নিম্নচাপটি  সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টির নাম হবে ‘মন্থা’, যা থাইল্যান্ড প্রস্তাব করেছে। থাই ভাষায় ‘মন্থা’ শব্দের অর্থ “সুগন্ধি ফুল” বা “সুন্দর ফুল”। উত্তর ভারত মহাসাগর অঞ্চলের ঘূর্ণিঝড় নামকরণের ধারাবাহিকতায় এই নামটি ব্যবহৃত হবে।                                                           

আগামী ২৬ অক্টোবরের মধ্যে এটি ভয়ানক রূপ নেবে এবং পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রভাবে দক্ষিণ ভারতের উপকূলীয় রাজ্য তামিলনাড়ুতে ইতিমধ্যেই ব্যাপক বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে।   

Continues below advertisement

আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ ইতিমধ্যে তৈরি হয়ে গিয়েছে। আগামী ২৭ অক্টোবর অর্থাৎ সোমবারের মধ্যে এই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। আবহবিদদের ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর যদি তা সোজাসুজি উপকূলের দিকে এগিয়ে যায়, সেক্ষেত্রে মূলত প্রভাব পড়বে তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলের উপর। বৃষ্টির হাত থেকে রেহাই পেতে পারে বাংলা।

ইতিমধ্যেই চেন্নাই-সহ তিন জেলায় অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। মৌসম ভবন সোমবার, অর্থাৎ ২৭ অক্টোবর ২০২৫-এর জন্য চেন্নাই, তিরুভাল্লুর এবং রানিপেট জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করেছে। ওই দিন এলাকাগুলিতে অতি ভারী থেকে অতি অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি উপকূলজুড়ে দমকা হাওয়া বইতে পারে, যা ঘণ্টায় ৬০–৭০ কিমি বেগে পৌঁছাতে পারে।