কলকাতা: রেমাল-রোষে বিপর্যস্ত জনজীবন। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবের প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়েছে রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকায়। এই পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস মমতার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, যাদের বাড়ি ঘর ভেঙে গেছে, চাষের জমি নষ্ট হয়েছে, মানুষের ক্ষতি হয়েছে, যারা সব হারিয়েছেন, প্রশাসন সব উদ্যোগ নেবে। 


পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস: এদিন কলকাতা উত্তর কেন্দ্রে ভোট প্রচারে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "যাঁদের সব চলে গেছে এই দুর্যোগে, যাঁরা সব হারিয়েছেন ঘর বাড়ি, ব্যবসা, চাষের জমি থেকে শুরু করে সব কিছু আমি তাঁদের কথা দিচ্ছি প্রশাসন যা যা উদ্যোগ নেওয়ার কাল থেকেই করছেন আগামী দিনও করবেন। একটু স্বাভাবিক হলেই আমি নিজে এরিয়া সার্ভে করব। কাঁচা বাড়ি যাঁদের, যাঁদের বাড়ি ভেঙেছে, ফসল নষ্ট হয়েছে, তাদের সরকারের তরফ থেকে যেভাবে ত্রাণ দিচ্ছে, আমি কথা দিচ্ছি আমিও পুরো সহযোগিতা করব আপনাদের। আপনাদের চিন্তা করবার কারণ নেই। আমি জানি আপানারা দুশ্চিন্তায় আছেন।'' 


দুর্যোগের জেরে কলকাতা থেকে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, একে একে মৃত্য়ু হল ৬ জনের। রবিবার রাতে যখন তাণ্ডব চালাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল, তখন এন্টালির বিবির বাগানে বাড়ির কার্নিশের চাঙড় ভেঙে মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির। NRS মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেল চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানায়, বাড়ির ওপর গাছ পড়ে মৃত্যু হয় এক বৃদ্ধার। মৌসুনি দ্বীপের বাসিন্দা বৃদ্ধা আজ সকালে ঝড়ের সময় রান্নাঘরে বসে খাচ্ছিলেন। তখনই, গাছ উপড়ে রান্নাঘরের টিনের ছাউনির ওপর পড়ায় তিনি চাপা পড়েন। পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে, বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল বাবা-ছেলের। রাস্তার উপরে একটি কলাগাছ পড়ে ছিল। স্থানীয়দের দাবি, পাশে ছিড়ে পড়েছিল বিদ্যুতের তার। হুকিং করে এই বিদ্যুৎ নেওয়া হচ্ছিল। কলাগাছ সরাতে গেলে ওই ব্যক্তি বিদ্যুৎপৃষ্ট হন।বাবাকে উদ্ধার করতে গিয়ে ছেলেও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। দু-জনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যবসায়ীর। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলাতেও। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।  


আরও পড়ুন: Remal Cyclone Update: উত্তরে দুর্যোগের আশঙ্কা, কবে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে দক্ষিণবঙ্গ?