কলকাতা: আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, যদি এর পরিধি বেড়ে যেত, তাহলে অন্য জায়গাতে প্রভাব পড়বে। তবে এইক্ষেত্রে এটা অনেক কমপ্যাক্ট হয়ে গিয়েছিল। তবে কেন কমপ্যাক্ট হল ? এগুলি ম্যাটার অব ইনভেস্টিগেশন।আমাদেরকে ওগুলি পড়াশোনা করতে হবে, দেখতে হবে।
সাংবাদিক: এইবার আপনাদের রুট এবং ইনটেনসিটি প্রেডিকশনটা অ্যাকুরেট হয়েছে ( উৎসস্থল এবং তীব্রতা)। আপনি বললেন উত্তর-পশ্চিম দিকে এখন অভিমুখ করছে। নর্থ কোস্টাল ওড়িশার দিকে রয়েছে ?
আবহাওয়া দফতরের আধিকারিক: হ্যাঁ এখন, নর্থ কোস্টাল ওড়িশার দিকে রয়েছে।
সাংবাদিক: এটা একি এখানেই আস্তে আস্তে নিম্নচাপে মিলিয়ে যাবে নাকি পাশের রাজ্য অথবা অন্য কোন দিকে যাবে ?
আবহাওয়া দফতরের আধিকারিক: ব্যাপারটা হচ্ছে, আমাদের ধারণা, এখানেই মিলিয়ে যেতে পারে। যদিও না মেলে, চলতে চলতে পাশের রাজ্য ছত্তিশগড়েও যেতে পারে।
সাংবাদিক: যেহেতু অক্টোবরের শেষ, এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কি শীতের আসা-যাওয়ায় কোনও প্রভাব পড়বে ?
আবহাওয়া দফতরের আধিকারিক: অক্টোবর-নভেম্বর-ডিসেম্বর হল সাইক্লোন সিজন। এটা কিন্তু আজ থেকে নয়, চিরকালই আছে। তার জন্য শীত আসা-যাওয়ার বিঘ্ন ঘটবে না। শীত আসতে এমনিতেই অনেক সময় বিঘ্ন ঘটে, গতবছরও বিঘ্ন। কিন্তু এটা তো সাইক্লোন সিজন। এই তো জাস্ট একটাই সাইক্লোন হল।
'আগামীকাল থেকে আবহাওয়ার উন্নতির সম্ভাবনা'
প্রসঙ্গত, উল্লেখ্য, আশঙ্কা থাকলেও ঘূর্ণিঝড় দানার বিশেষ প্রভাব পড়ল না বাংলায়। ধামারার কাছে ল্যান্ডফল করে ওড়িশাতেই 'অ্যারেস্ট' ঘূর্ণিঝড়। সকালেই ল্যান্ডফলের প্রক্রিয়া শেষ করে ধীরে ধীরে শক্তি হারাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় দানা। ঝড়ের দাপট না থাকলেও বৃষ্টিতে ভাসছে দক্ষিণবঙ্গ। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সবথেকে বেশি পূর্ব মেদিনীপুরে। উপকূলবর্তী এলাকায় ৮০ থেকে ৯০ কিমি বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। নন্দীগ্রাম-খেজুরি-এগরায় ভাঙল গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি। আগামীকাল থেকে আবহাওয়ার উন্নতির সম্ভাবনা বলেই দাবি আবহাওয়া দফতরের।
আরও পড়ুন, 'অতীতে বলেছি, ছবি একই আছে', বাড়ির চত্বর জল থইথই ! আক্ষেপ TMC সাংসদ সৌগত রায়ের