কলকাতা: ডিএ আন্দোলনকারীদের ফের অনশন প্রত্যাহারের বার্তা রাজ্যপালের। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস বলেন, 'মানুষের জীবন মূল্যবান। যে কোনও জটিল সমস্যার সমাধান আছে। আমাদের সমাধানের চেষ্টা করা উচিত। খোলা মনে আমাদের সেই পথ বের করতে হবে।'

এর আগেও রাজ্যপাল (West Bengal Governor C V Ananda Bose) আশ্বাস দিয়েছেন। জানিয়েছেন তিনি তাঁর সাধ্যমতো সাহায্য করবেন। তবু সরকার সংবেদনশীল না হলে এই অনশন-আন্দোলন চলবে। রাজভবন (Raj Bhawan) থেকে বেরিয়ে এমনটাই বললেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ৫ প্রতিনিধি দল। DA-আন্দোলনের জট কাটাতে আসরে নেমেছেন রাজ্যপাল। রাজ্যপালের ডাকে আজ রাজভবনে যায় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ৫ প্রতিনিধি দল। ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের আয়োজন এবং দাবি মেনে নেওয়ার পরই অনশন প্রত্যাহার করবেন বলে স্পষ্ট করেছেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ।

শোকজ-অভিযোগ:অন্যদিকে আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ১০ মার্চ ধর্মঘটে সামিল হওয়ায় কয়েকজন সরকারি কর্মীকে শোকজ করা হয়েছে। যদিও এরপরও আন্দোলনে অনড় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। শহিদ মিনারে তাদের ধর্না-অবস্থান আজ ৪৫ দিনে পড়ল। অনশন আন্দোলন পা দিল ৩১ দিনে। গতকাল সন্ধেয় DA-ধর্নামঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়েন আরও এক অনশনকারী। ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল নামে সরকারি কর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই মুহূর্তে ২ জন অনশনকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনরত সরকারি কর্মীদের অনশন তুলে আলোচনায় বসার জন্য শনিবার আহ্বান জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রবিবার রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক করলেন যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের পাঁচ প্রতিনিধি। কিন্তু তারপরও অধরাই রয়ে গেল সমাধান সূত্র! অনশনে অনড় রইলেন আন্দোলনরত সরকারি কর্মীরা। সরকার সম্মানজনক শর্তে রাজি হলে তবেই অনশন প্রত্যাহার করা হবে। রাজভবনের বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসে বার্তা দিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ!

ফলে এখনই বকেয়া ডিএ ইস্যুতে সরকার ও সরকারি কর্মীদের একাংশের সংঘাত থামার এখনই কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না! বাজেটে ৩ শতাংশ ডিও বৃদ্ধির পরও, ষষ্ঠ বেতন কমিশন অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মীদের DA-এর ফারাক এখন ৩২ শতাংশ। যার দাবিতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলন রবিবার ৪৫ দিনে পড়ল! ৩১ দিন ধরে চলছে অনশনও! প্রায়শই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনশনকারীরা। এই পরিস্থিতিতে শনিবার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করে ট্যুইট করেন রাজ্যপাল।

আরও পড়ুন: উচ্চমাধ্যমিক শুরুর আগে স্কুলের গেটে আবর্জনার স্তূপ, ক্ষুব্ধ কর্তৃপক্ষ