সন্দীপ সরকার, কলকাতা: অ্যাডিনো-মোকাবিলায় (Adenovirus Infection) আজ ভার্চুয়াল বৈঠকে (Virtual meeting) বসছে রাজ্য সরকারের (State Government)তৈরি টাস্ক ফোর্স (Task Force)। দুপুর ২টো নাগাদ বৈঠক শুরু হওয়ার কথা। বিভিন্ন হাসপাতালে ক'জন শিশু ভর্তি রয়েছে, তাদের মধ্যে ক'জন অ্যাডিনো আক্রান্ত, পরিকাঠামোর কোনও খামতি রয়েছে কিনা, বেডের জন্য অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন কি না, কী ভাবে হাসপাতাল পরিদর্শন করা হবে, এসব নিয়েই মূলত আলোচনা করবেন টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা।


আর কী আলোচনা হওয়ার কথা?
এসবের পাশাপাশি কোন হাসপাতালে কতগুলি শয্যা খালি রয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে তা অসুস্থ শিশুর পরিবারকে জানানো যায় কিনা সেটিও আলোচনা করা হবে এই বৈঠকে। অ্যাডিনো মোকাবিলায় সার্বিকভাবে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা নিয়েও আলোচনা করা হবে। গত কালই এই সংক্রমণ মোকাবিলা ও আক্রান্তদের চিকিৎসার বিষয়টি নিয়ে পরামর্শ দেওয়ার জন্য ৮ সদস্যের একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করেছিল রাজ্য সরকার। মূলত শিশুমৃত্যু ঠেকানোই মূল লক্ষ্য ছিল ওই টাস্ক ফোর্সের। পরামর্শদাতা কমিটির মতো কাজ করা এই টাস্ক ফোর্সের চেয়ারম্যান স্বয়ং মুখ্যসচিব। কিন্তু সেই কমিটির বৈঠকের আগেই রাজ্যে ফের অ্যাডিনো আক্রান্ত এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণেশ্বরের এক ৬ মাসের শিশুর অ্যাডিনো সংক্রমণ হয়েছিল। বি সি রায় হাসপাতালে মারা যায় সে। বস্তুত গত রাত থেকে আজ দুপুর পর্যন্ত বি সি রায় হাসপাতালে ৪ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। বাকি তিন জন দত্তপুকুর, হাড়োয়া ও বনগাঁর বাসিন্দা। এর মধ্যে নিউমোনিয়ায় মৃত্যু হয়েছে তিন শিশুর। বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সব মিলিয়ে ২ মাসে রাজ্যে প্রাণ গিয়েছে ১৪১ জন শিশুর। পরিস্থিতি বেশ কঠিন। কী দিশা নির্দেশ করবেন টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা। 


রাজনৈতিক তরজা...
দিনদুয়েক আগে অ্যাডিনো-ভাইরাসের ভয়ঙ্কর বাড়বাড়ন্ত এবং শিশু মৃত্যুর প্রতিবাদে স্বাস্থ্যভবন অভিযান করেছিল বিজেপি। সে দিন দুপুরে সল্টলেকের করুণাময়ী মোড়ে বিজেপি কর্মী এবং সমর্থকদের জমায়েত হয়। কিন্তু পরিস্থিতি সামলাতে আগে থেকেই তৈরি ছিল পুলিশ। বিজেপি কর্মীদের দাবি, তাঁদের এগোতে দেওয়া হয়নি। সেখানেই তাঁদের টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। হাজির ছিলেন বিজেপি মহিলা মোর্চার কর্মীরাও। তাঁদেরও তোলা হয় একটি বেসরকারি বাসে। সল্টলেক করুণাময়ী মোড়ে তাঁদের সঙ্গে পুলিশের বচসাও বেঁধে যায় বলে খবর। ধস্তাধস্তিতে রক্তাক্ত বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী। মাথা ফাটে এক বিজেপি কর্মীর। হাত কাটে বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পালের। পরে তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়। অসুস্থ হয়ে পড়েন বিজেপি কর্মী তনুজা চক্রবর্তী। পুলিশের বিরুদ্ধে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। 


আরও পড়ুন:সমাধান কোন পথে? রাজ্যপালের ডাকে আজ রাজভবনে DA-আন্দোলনকারীরা