সত্যদিৎ বৈদ্য, হাওড়া :  নবান্ন বাসস্ট্যান্ডের কাছে অবস্থানের আগে ডিএ আন্দোলনকারীদের আটকে দেওয়া হল। শর্ত সাপেক্ষে ২২ থেকে ২৪ ডিসেম্বর নবান্ন বাস স্ট্যান্ডে যৌথ মঞ্চের ধর্নায় অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট। কিন্তু বাসস্ট্যান্ডে যাওয়ার আগেই ব্যারিকেড করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ আন্দোলনকারীদের পথ আটকায় বলে অভিযোগ। তারপরে নবান্নর সামনের রাস্তাতেই বসে পড়েন ভাস্কর ঘোষের নেতৃত্বে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা। বৃহস্পতিবারই বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দেন, নবান্ন বাসস্ট্য়ান্ডে DA আন্দোলনকারীরা অবস্থান করতে পারবেন। কিন্তু, ৩০০ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না। অবস্থানের প্রভাব যেন জাতীয় সড়কে যান চলাচলের ওপর না পড়ে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধি মেনে অবস্থান আন্দোলন করতে হবে। 


আরও পড়ুন :


দেশে বাড়ল কোভিড মৃত্যু, কতটা খতরনাক এই  JN.1 সাব ভ্যারিয়েন্ট ?


রাতেও ধর্নাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছলেন তাঁরা। তখনই  পুলিশের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। কিন্তু বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনে অনড় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা শুক্রবার কাক ভোরেই পৌঁছে যান নবান্নর কাছাকাছি। এরপর পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা বেঁধে যায় আন্দোলনকারীদের। এর ফলে দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে নবান্নর দিকে যাওয়ার রাস্তা কার্যত বন্ধ এখন।  


এদিকে, DA-র দাবিতে ক্রমশ আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে রাজ্য় সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলি। বকেয়া DA-র দাবিতে শহিদ মিনার চত্বরে একটানা ৩২৯ দিন ধরে চলছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অবস্থান-আন্দোলন। নবান্নের সামনে ধর্না কর্মসূচির দাবিকে শর্তসাপেক্ষে সম্মতি জানিয়েছে হাইকোর্ট। এই আবহেই লক্ষ্মীবারে রাজ্য় সরকারি কর্মীদের জন্য় ৪ শতাংশ DA ঘোষণা করেন মুখ্য়মন্ত্রী। তিনি বলেন, ' আমাদের পে কমিশন আছে, এটা আমরা এক্সট্রা দিই। আমাদের কাছে এটা বাধ্য়তামূলক নয়, এটা অপশন। তা সত্ত্বেও আমরা দিয়ে যাই।' 


রাজ্য় সরকারি কর্মীরা এতদিন ৬% DA পেতেন। এবার রাজ্য় সরকার আরও ৪% DA বাড়ানোর ঘোষণা করল অর্থাৎ জানুয়ার থেকে রাজ্য় সরকারি কর্মচারীরা ১০% হারে DA পাবেন। আর কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা বর্তমানে ৪৬ শতাংশ DA পান। অর্থাৎ কেন্দ্র ও রাজ্য় সরকারি কর্মচারীদের DA-র ফারাক এখনও ৩৬%। 


সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বলেন, ' তাৎপর্যপূর্ণ হচ্ছে, রায় বেরনোর পরে ঘোষণা। বাকিটা তো আপনারা সবাই বুঝতে পারছেন। বকেয়া আছে ৪০ শতাংশ। সেখান থেকে ৪ শতাংশ মানে ১০ ভাগের ১ ভাগ দিচ্ছেন।'