কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টে ফের পিছিয়ে গেল ডিএ মামলার শুনানি। আরও সময় চাইল রাজ্য। দ্রুত শুনানির আর্জি আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যর। সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার পরবর্তী শুনানি ১৪ জুলাই। 'ডিএ দিতে গেলে রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যাবে', রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মন্তব্য মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের।
এর আগেও আদালতের ২৪ এপ্রিলের শুনানির তালিকা থেকে বাদ গিয়েছিল ডিএ মামলা। বিচারপতি জেবি পারাদিওয়ালার অনুপস্থিতির কারণ দেখিয়ে শুনানি থেকে বাদ গিয়েছিল। ১১ এপ্রিল শুনানির পরে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত হয়ে গিয়েছিল শুনানি। ফের এবার।
হাইকোর্টের নির্দেশে বকেয়া DA নিয়ে নবান্নের বৈঠকে মেলেনি সমাধানসূত্র। আন্দোলনে অনড় রাজ্য সরকারি কর্মীরা। লাগাতার ধর্মঘট ও ডিজিটাল অসহযোগিতার মেয়াদ বাড়ানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। শহিদ মিনারে চলছে ধর্না-অবস্থান। বকেয়া DA-র দাবিতে মহামিছিলও করেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। তাদের অভিযোগ, সমাধান খোঁজবার সদিচ্ছাই নেই রাজ্য সরকারের। বর্তমানে কেন্দ্র এবং রাজ্য়ের মধ্য়ে DA-র ফারাক ৩৬ শতাংশ। সূত্রের খবর, নবান্নে DA-আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যসচিব জানিয়েছিলেন, অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে বকেয়া DA দেওয়া যাচ্ছে না। সঙ্কট কাটলে নিশ্চয়ই দেওয়া হবে।
বকেয়া ডিএ নিয়ে নবান্নের ডাকা বৈঠক নিষ্ফলা হওয়ার পর লাগাতার ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। সমাধান খোঁজার সদিচ্ছাই নেই রাজ্য সরকারের। এই অভিযোগ তুলে সরকারের সঙ্গে ডিজিটাল অসহযোগিতাও চালিয়ে যাওয়ার বার্তাও দিয়েছেন তাঁরা।
ডিএ আন্দোলনে বদলি?
বকেয়া ডিএ-র (DA) দাবিতে ধর্মঘটে যোগ দেওয়ায় কলকাতা থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রত্যন্ত এলাকায় বদলি। নবান্নের ৬ কর্মীকেও ডিটেলমেন্ট। এমনই অভিযোগ তুলে সরব হল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। তাঁদের অভিযোগ, ৬ মে মহামিছিলের আগে মনোবল ভেঙে দিতেই এই ব্যবস্থা। যে কোনও স্তরের কর্মীকে সরকার চাইলেই বদলি করতে পারে। এটা সার্ভিস রুলেই রয়েছে। দাবি নবান্ন সূত্রে।
কেয়া ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন বাংলার সীমানা ছাড়িয়ে রাজধানীতে পৌঁছে দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। চলতি মাসে দিল্লির যন্তরমন্তরে দু'দিনের বিক্ষোভ অবস্থান পালন করেছে তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে আগামী ৬ মে মহামিছিলের ডাক দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। কিন্তু তার আগে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলল সরকারি কর্মচারীদের এই সংগঠন। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অভিযোগ, শিক্ষক-শিক্ষিকা মিলিয়ে ৫৮০ জন সরকারি কর্মীকে কলকাতা থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা, পাথরপ্রতিমা, সুন্দরবনের মতো প্রত্যন্ত এলাকায় বদলি করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘুম থেকে উঠতে না উঠতেই বেড টি চলে এল, খারাপ না ভাল ?