কলকাতা: ১০ বছরের টানাপোড়েনের ইতি। জিয়া খান (Jiah Khan) মৃত্যুরহস্যে অভিনেত্রীর তৎকালীন প্রেমিক সূর্য পাঞ্চোলিকে (Suraj Pancholi) বেকসুর খালাস করল বিশেষ সিবিআই আদালত। আজকের রায়ের দিকে কার্যত চাতক পাখির মতোই তাকিয়ে বসেছিল জিয়ার পরিবার। এর আগে, অভিনেত্রীর পরিবারের তরফ থেকে সূর্য পাঞ্চোলির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেওয়া হয়েছে একাধিকবার। কিন্তু আজকে আদালত রায়দানের সময় উল্লেখ করে, সূর্যর বিরুদ্ধে জিয়াকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার উপযুক্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। আর তাই, প্রমাণের অভাবেই বেকসুর খালাস করা হল সূর্য পাঞ্চোলিকে। 


মাত্র ২৫ বছর বয়সে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন জিয়া। কেরিয়ারের গতি মন্দ ছিল না জিয়ার। কিন্তু তাঁর হঠাৎ মৃত্যু নড়িয়ে দিয়েছিল গোটা বলিউডকে। একটি অ্যাপার্টমেন্টে একাই থাকতেন জিয়া। তবে অভিনেত্রীর পরিবারের তরফ থেকে বলা হয়, প্রেমিক সূর্য পাঞ্চোলির সঙ্গে লিভ ইন করতেন জিয়া। ২০১৩ সালের ৩ জুন মুম্বইতে সেই ফ্ল্য়াট থেকেই উদ্ধার হয় জিয়ার নিথর দেহ। ২০১২ সাল থেকেই সূর্যের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন জিয়া। 


অভিনেত্রীর পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়, সম্পর্কে থাকাকালীনই জিয়াকে নানারকমভাবে হেনস্থা করতেন সূর্য। মানসিক টানাপোড়েনেই আত্মহত্যায় বাধ্য হয়েছেন জিয়া। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে চলছে এই মামলা। আর আজ, বিশেষ সিবিআই আদালতে, উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণের অভাবে সূর্যের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করে দিল বিশেষ সিবিআই আদালত। 


রায়দানের আগে, জিয়ার মা জ়ারিনা ওয়াহাব বলেছিলেন, 'দীর্ঘ ১০ বছর ধরে এই দিনটিই অপেক্ষায় ছিলাম।' বলা বাহুল্য, এই রায়কে মেনে নিতে পারেনি জিয়ার পরিবার। তাঁর পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই মামলার রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যাবেন তাঁরা। অন্যদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি স্টেটাস শেয়ার করে নিয়েছেন সূর্য। সেখানে লেখা, 'শেষমেষ সত্যিটাই জিতে যায়'। বলাই বাহুল্য, এই রায়দানে আপাতত স্বস্তিতে আদিত্য পাঞ্চোলি পুত্র ও তাঁর পরিবার।


আরও পড়ুন: Hair Care Tips: চুলের গ্রোথ বাড়ানোর জন্য ঘরোয়া উপায়ে কী কী করতে পারেন?


আরও পড়ুন: Stretch Marks: কেন দেখা দেয় স্ট্রেচ মার্ক? কীভাবে দূর করবেন এই দাগ?