কলকাতা: এদিন ভোর থেকেই বকেয়া ডিএ-র দাবিতে, সরকারি কর্মচারীদের নবান্নের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় বচসা বাঁধে আন্দোলনকারী সরকারি কর্মচারীদের।  হাইকোর্টের অনুমতি সত্ত্বেও নবান্ন বাসস্ট্যান্ডে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যদের বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। বলা হয় 'শব্দ দূষণ' হচ্ছে। তবে এখানেই শেষ নয়,  'দোকান বন্ধ, শৌচাগার ব্যবহার করতে দেওয়া হচ্ছে না', অভিযোগ আন্দোলনকারীদের।


মূলত এদিন ভোর থেকেই আন্দোলনকারীরা নবান্নের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে নেমে নানা বাধার সম্মুখীন হন বলে অভিযোগ। ধৈয্যের বাধ ভাঙে যখন, তাঁরা দেখতে পান, আশেপাশের সকল খাবারের দোকান বন্ধ। এবং নিকর্টবর্তী শৌচাগারগুলিও ব্যবহার করতে যাতে না পারা যায়, সেজন্য শৌচাগারগুলিকেও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই দীর্ঘ সময় ধরে ধর্নায় বসে খাবারের দরকার পড়ে। তার উপর অন্যতম প্রয়োজনীয় শৌচাগার। সেটিও ব্যবহার করতে না দেওয়ার কার্যত ক্ষোভ উগরে দেন আন্দোলনকারীরা। যদি বেলা গড়াতেই গোটা পরিস্থিতি বদল। কারণ ইতিমধ্যেই এবার আগামীকাল বিকেল চারটে পর্যন্ত ধর্না করুন, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি।


বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। গতকালই শর্তসাপেক্ষে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চকে ধর্নায় বসার অনুমতি দেন বিচারপতি মান্থা। ২২ থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ধর্নার অনুমতি দিয়েছিল় আদালত। কাল মুখ্যমন্ত্রী মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করেছেন, মন্তব্য প্রধান বিচারপতির। এতে আন্দোলনকারীরা খুশি নন, মধ্যরাত থেকে ধর্না চলছে, আদালতে জানাল রাজ্য। আগামীকাল বিকেল চারটে পর্যন্ত ধর্না করুন, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্য প্রধান বিচারপতির । 


আরও পড়ুন, নারকেলডাঙায় BJP নেতা ও তাঁর পরিবারকে 'বেধড়ক মার', কাঠগড়ায় 'TMC'


বৃহস্পতিবারই বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দেন, নবান্ন বাসস্ট্য়ান্ডে DA আন্দোলনকারীরা অবস্থান করতে পারবেন। কিন্তু, ৩০০ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না। অবস্থানের প্রভাব যেন জাতীয় সড়কে যান চলাচলের ওপর না পড়ে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধি মেনে অবস্থান আন্দোলন করতে হবে। রাতেও ধর্নাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছলেন তাঁরা। তখনই  পুলিশের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। কিন্তু বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনে অনড় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা শুক্রবার কাক ভোরেই পৌঁছে যান নবান্নর কাছাকাছি। এরপর পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা বেঁধে যায় আন্দোলনকারীদের।