উমেশ তামাং, দার্জিলিং : নেপালি নববর্ষ উদযাপন (Nepali New Year Celebration) উপলক্ষে একমঞ্চে পাহাড়ের ছোট-বড় সব রাজনৈতিক দল। শুক্রবার নতুন নেপালি বছর ২০৮০ সালকে স্বাগত জানালেন পাহাড়বাসী। এই উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন বিমল গুরুং, অজয় এডওয়ার্ড, রুদেন লেপচারা।  


নেপালি নববর্ষ, উৎসবমুখর দার্জিলিং


শুক্রবার নেপালি নববর্ষ। নতুন বছর ২০৮০-কে স্বাগত জানালেন নেপালিরা। নেপালি নববর্ষকে স্বাগত জানানো হল পাহাড়ে। এই উপলক্ষে সেলিব্রেশনে মেতে উঠল দার্জিলিং। কালিম্পংয়ের মেলার মাঠ থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। পরে সেই মাঠেই আয়োজন করা হয় বিশেষ অনুষ্ঠানের।


নেপালি নববর্ষ উপলক্ষে এক মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন হামরো পার্টির সভাপতি অজয় এডওয়ার্ড, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুং, ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সহ-সভাপতি ও কালিম্পংয়ের বিধায়ক রুদেন লেপচা। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ বলেছেন, 'আজ নেপালিদের নববর্ষ। খুব ভাল ভাবে নববর্ষ পালন করা হচ্ছে। সকলকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সকল জাতি-ধর্মের মানুষ এক হয়ে নববর্ষ পালন করছেন।' হামরো পার্টির সভাপতি অজয় এডওয়ার্ড বলেছেন, 'জাতির পরব আজকে। আজকের দিন রাজনীতি ত্যাগ করে একসঙ্গে নববর্ষ পালন করছি।' এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাহাড়ের ছোট ছোট রাজনৈতিক দলের নেতারাও।


আরও পড়ুন- 'খোকনের ডাক পড়ার সময় এসে গেছে' নাম না করে অভিষেককে আক্রমণ সুকান্তর


এদিকে, শুক্রবার সন্ধেয় বাংলা নববর্ষের প্রাক্কালে কালীঘাট মন্দিরে পুজো দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Chief Minister Mamata Banerjee)। রাজ্যবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান। নূববর্ষে সুখ-সমৃদ্ধি-শান্তি কামনা করেন রাজ্যবাসীর জন্য। এদিকে, বীরভূমে সভার শেষে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দিতে যান অমিত শাহও। বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলার আইন শৃঙ্খলার উন্নতির জন্য, সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশে সব ধর্মের লোকেদের উৎসব পালনের পরিবেশ চেয়ে মায়ের কাছে প্রার্থনা করেছেন বলেই জানান। পাশাপাশি, শনিবার পয়লা বৈশাখে সাধারণের জন্য খুলছে রাজভবনের দরজা। তার আগে বাংলা নববর্ষে শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শুক্রবার সন্ধ্যায় ওয়ার্ল্ড সাইক্রিয়াটিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। তার আগে দুপুরে বাবা সাবেহ আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয়ে যান রাজ্যপাল।