রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: রাস্তায় দুধ ফেলে প্রতিবাদ জানালেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad Dairy Farmers Protest) দুগ্ধ ব্যবসায়ীদের একাংশ। মঙ্গলবার বহরমপুর (Berhampore Dairy Farmers Protest) থানার সাটুই বাজারে সকাল থেকে বিক্ষোভে সামিল হন তাঁরা। রাস্তা অবরোধও করেন। সব মিলিয়ে তীব্র হইচই। কিন্তু কেন এই প্রতিবাদ করলেন তাঁরা?


কেন প্রতিবাদ?
প্রতিবাদীদের অভিযোগ, তাঁদের শ্রমের পণ্য, দুধ, কিনছে না ভাগীরথী মিল্ক ইউনিয়ন। এতেই শেষ নয়। আরও অভিযোগ, নানা অছিলায় ভাগীরথী মিল্ক ইউনিয়নকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। এরই প্রতিবাদে আন্দোলনে সামিল হয়েছেন ভাগীরথী মিল্ক ইউনিয়নের বিভিন্ন সমবায়ের সদস্য, ওই দুগ্ধ ব্যবসায়ীরা। অতীতেও বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে ভাগীরথী মিল্ক ইউনিয়ন বাঁচাতে অভিযান হলে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে জেলাশাসক বা ভাগীরথী মিল্ক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। প্রতিবাদের এই ধরন অবশ্য একেবারে অচেনা নয়। দুগ্ধজাত খাবারের দাম বাড়ানো-সহ একাধিক দাবিতে আগেও একই ভাবে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন চাষিরা। ২০১৮ সালের ঘটনা। সেবার চুঁচুড়ার ঘড়ির মোড়ে রাস্তায় দুধ ঢেলে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। এর ফলে দুপুর দুটো থেকে প্রায় তিন ঘণ্টা যান চলাচল ব্যহত হয়। পরে জেলা শাসকের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেন বিক্ষোভকারীরা। ঘটনাচক্রে এদিনই আবার রাজ্যজুড়ে ২ দিনের কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। বকেয়া DA-সহ চার দফা দাবিতে রাজ্যজুড়ে ২ দিনের কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে তারা।


আন্দোলন নানা দিকে...
আজ ও কাল, অর্থাৎ মঙ্গল ও বুধবার কর্মবিরতি পালন করবেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। প্রসঙ্গত এই নিয়ে পঞ্চমবার কর্মবিরতির ডাক দিলেন DA-আন্দোলনকারীরা। বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে  ২৫৭ দিন ধরে চলছে অবস্থান-বিক্ষোভ। ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির সামনে চলছে অবস্থান- বিক্ষোভ। যে চারটি দাবিতে তাঁরা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন সেগুলি হল, কেন্দ্রীয় হারে DA, রাজ্য সরকারি অফিসে শূন্যপদে স্বচ্ছ ও স্থায়ী নিয়োগ, প্রতিহিংসামূলক বদলি অবিলম্বে প্রত্যাহার এবং যোগ্য অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ীকরণ।বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির সামনে ২৫৭ দিন ধরে চলছে অবস্থান-বিক্ষোভ। এর আগে, গত ২৬ সেপ্টেম্বর, বকেয়া DA এবং স্থায়ীকরণের দাবিতে, ফের পথে নেমেছিলেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলনকারী সরকারি কর্মী ও অস্থায়ী কর্মীরা। সে দিন রাস্তায় দণ্ডি কাটতে দেখা যায় বিক্ষোভকারীদের। রাজভবনে গিয়ে দাবিদাওয়াও জানানো হয়েছিল মঞ্চের তরফে। 


 


আরও পড়ুন:'..আমি কৃতজ্ঞ', ১০০ দিনের বকেয়ার ইস্যুতে রাজ্যপালের প্রশংসায় অভিষেক