মুন্না আগরওয়াল, বালুরঘাট (দক্ষিণ দিনাজপুর) : চেয়ারম্যান নন, বালুরঘাট পুরসভায় (Balurghat Municipality) পুর পারিষদ-বিতর্কে জেলা সভাপতির (District President) ঘোষণা করা নামেই সিলমোহর দিল তৃণমূলের (TMC) রাজ্য নেতৃত্ব। যা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নির্বাচনী ক্ষেত্র বালুরঘাটের পুর নির্বাচনে একচেটিয়া দাপট দেখিয়ে জয়লাভ করেছে তৃণমূল। কিন্তু তারপরও পুর পারিষদ নির্বাচন নিয়ে দলের অন্দরের মতপার্থক্য একেবারে সামনে চলে আসে। 


মতপার্থক্য ঠিক কোথায়


বুধবার বালুরঘাট পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে পুর পারিষদ পদে ৩ জনের নাম ঘোষণা করেন চেয়ারম্যান অশোক মিত্র। কিন্তু পরের দিনই চেয়ারম্যানের ঘোষণা করা ৩ জনের নাম বাতিল করে, অন্য ৩ জনের নাম পুরপারিষদ হিসেবে ঘোষণা করেন দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা তৃণমূল সভাপতি (South Dinajpur District TMC President) উজ্জ্বল বসাক। তীব্র মতবিরোধের মধ্যে শেষ পর্যন্ত রাজ্য নেতৃত্বের হস্তক্ষেপ দাবি করেন বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান। শেষপর্যন্ত জেলা সভাপতির ঘোষণা করা নামেই চূড়ান্ত সিলমোহর দিল রাজ্য নেতৃত্ব। 


কী বলছেন দুই নেতা


তাঁর প্রস্তাবিত তিনজনের নাম রাজ্য নেতৃত্ব খারিজ করে দেওয়া প্রসঙ্গে বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেছেন, 'দল যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা মেনে নিয়েছি। দলের বাইরে আমরা কেউ নই। দলই আজ আমাদের এই জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে।' আর দক্ষিণ দিনাজপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি উজ্জ্বল বসাক বলেছেন, 'আমাদের মধ্যে একটা ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছিল। আলোচনা করে তা মিটিয়ে নিয়েছি।'


বালুরঘাট পুরসভা


এবারের পুরভোটে বালুরঘাটের ২৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৩টিতে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। আর ২টিতে জয়ী হয়েছে বামেরা। তৃণমূল সূত্রে খবর, ২০১৩ সালের পুরভোটে ৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হয়েছিলেন অশোক মিত্র। এবার তিনি একই ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয়েছেন ৩ ভোটের ব্যবধানে। আর ১৬ নম্বর ওয়ার্ড এবার মহিলা সংরক্ষিত হওয়ায় টিকিট পাননি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান রাজেন শীল। 


আরও পড়ুন- আর্থিক সমস্যা রুগ্ন দল, কোচবিহারে পার্টি অফিসের একাংশ পলিক্লিনিককে ভাড়া ফরওয়ার্ড ব্লকের