উমেশ তামাঙ্গ, দার্জিলিং: মাত্র তিনদিনের মাথায় সোমবার ফের কালিম্পঙে ধস নামল। কয়েকদিন ধরেই উত্তরবঙ্গে একটানা প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। আজ ভোরে ২৯ মাইলের কাছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস নামে। কালিম্পং ও সিকিমের সঙ্গে শিলিগুড়ির সড়কপথে যোগাযোগ আপাতত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। যদিও ইতিমধ্যেই রাস্তা পরিষ্কারের কাজ শুরু করেছে পূর্ত দফতর।


শুক্রবার কালিম্পঙের কাটারে এলাকায় ধস নেমে মাটির বাড়ি চাপা পড়ে মৃত্যু হয় এক বৃদ্ধের। কয়েকদিন ধরেই উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টে নাগাদ পেডং বাজার থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে কাটারে এলাকাতে ধস নামে। মৃত্যু হয় ৭৫ বছরের বীরবাহাদুর মঙ্গারের। বৃহস্পতিবার দফায় দফায় বৃষ্টির জেরে শিলিগুড়ি থেকে সিকিমগামী ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ফের ধস নামে। 


বৃহস্পতিবার সকালে কালিম্পঙের ২৯ মাইল এলাকাতেও ধস নামে। আটকে পড়েন কয়েকশো পর্যটক। পূর্ত দফতর ও বর্ডার রোড অর্গানাইজেশনের চেষ্টায় ঘণ্টা চারেক পর রাস্তার একাংশ পরিষ্কার হয়। রাস্তার একটি অংশ থেকে ধীরে ধীরে শুরু করানো হয় যান চলাচল। মঙ্গলবার থেকে দফায় দফায় বৃষ্টি চলছে পাহাড়ে। তার জেরে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।


আরও পড়ুন: আজ কৌশিকী অমাবস্যা, দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ থাকলেও মহাযজ্ঞের প্রস্তুতি তারাপীঠে


তার আগে, সেবকে করোনেশন ব্রিজের কাছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে প্রায় এক কিলোমিটার জুড়ে ধস নামায় কালিম্পং থেকে শিলিগুড়ি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। আটকে পড়ে বহু গাড়ি। দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। ভরা বর্ষায় প্রায়ই নামছে ধস। ঘটে যাচ্ছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। 


এছাড়াও গত মাসে দার্জিলিঙে সেবকের কাছে পাহাড় থেকে গড়িয়ে পড়া বোল্ডারের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছিল সেনাবাহিনীর এক জওয়ানের। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে করোনেশন ব্রিজের কাছে ধস নামার জেরে রাস্তা দিয়ে যাতায়াত বন্ধ ছিল। এই সময় প্রথমে শিলিগুড়ি থেকে সেবক পর্যন্ত অটোতে পৌঁছন গোর্খা রেজিমেন্টের জওয়ান রিনচেন তামাং। যদি কোনওভাবে বাড়ি ফেরা সম্ভব হয়, সেই চেষ্টা করার জন্য সেবকে পৌঁছলেও এক কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে ধস থাকায় তাঁকে বাধ্য হয়ে শিলিগুড়ি ফেরার রাস্তা ধরতে হয়। আর সেই ফেরার পথেই বিপদ। সেবকের কালীমন্দিরের কাছে একটি বড় বোল্ডার পাহাড় থেকে গড়িয়ে আচমকা অটোর উপর পড়ে। গুরুতর আহত হন অটো চালক এবং ওই সেনা জওয়ান ও গাড়ির ড্রাইভার। তাদের উদ্ধার পরে স্থানীয়রা পৌঁছে দেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। পরে সেখানেই দুর্ভাগ্যবশত ওই জওয়ানের মৃত্যু হয়।