উমেশ তামাং, কালিম্পং: করোনাকালে পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর কালিম্পংয়ে ফের চালু হল রিভার রাফটিং। তিস্তা আর রঙ্গিতের বুকে উথালপাথাল স্রোতে তরী ভাসালেন পর্যটকরা। উৎসবের মরশুম শুরুর মুখে রিভার রাফটিং চালু হওয়ায় উপার্জনের আশায় বুক বাঁধছেন কালিম্পংয়ের বাসিন্দারা।
পাহাড় থেকে দুরন্ত গতিতে সমতলের দিকে ধেয়ে চলেছে খরস্রোতা তিস্তা। তার দুর্নিবার স্রোতে ভাসলেন পর্যটকরা। করোনাকালে ৫ মাস বন্ধ থাকার পর কালিম্পং জেলায় তিস্তা ও তার উপনদী রঙ্গিতের বুকে ফের শুরু হল রিভার রাফটিং। রাফটিং শেষে এদিন নিজের অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিলেন মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ সিংহ গউর।
আরও পড়ুন: শ্বাসকষ্ট, জ্বর! উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ফের ২ শিশুর মৃত্যু
সাদা অর্কিডের জন্য বিখ্যাত কালিম্পংয়ের নিসর্গ শোভা এমনিতেই পর্যটকদের প্রিয়। আর এই সুন্দরী পাহাড়ি জেলাতেই তিস্তার বুকে এসে মিশেছে অসমের দীর্ঘতম নদী রঙ্গিত। সেই নদীর বুকেই এখন চলছে হুটোপুটি। লাবারবোতে থেকে কিরনি এবং লাবারবোতে থেকে ভালুখোলা - দুটি রুটে শুরু হয়েছে রিভার রাফটিং। লাবারবোতে থেকে কিরনি, ৭ কিলোমিটার রিভার রাফটিংয়ের জন্য বোট পিছু ভাড়া ৫ হাজার টাকা। লাবারবোতে থেকে ভালুখোলা, ৩ কিলোমিটার রিভার রাফটিংয়ের জন্য বোট পিছু ভাড়া ৪ হাজার টাকা। একটি বোটে গাইড সহ থাকবেন মোট ৬ জন।
টয়ট্রেন থেকে জঙ্গল সাফারি, ভিস্তা ডোম থেকে রিভার রাফটিংসব মিলিয়ে পুজোর ছুটিতে উত্তরবঙ্গ জমজমাট। কালিম্পংয়ে মোট ৫০টি রাফটিং বোট রয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে ২৫টি বোট নিয়ে শুরু হয়েছে রাফটিং। উদ্যোক্তাদের আশা, পুজোর মরশুমে কালিম্পংয়ে পর্যটক টানবে এই রাফটিং। তার হাত ধরে রুটিরুজির ছন্দে ফিরতে পারবেন এলাকার অনেকে। তিস্তা-রঙ্গিত রিভার রাফটিং ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রোশন ভুজেল বলেন,“ভাল হল চালু হয়ে। এখানকার যুবকরা কাজ পাবে।’’
আরও পড়ুন: Bangaon: বনগাঁয় মিষ্টি ব্যবসায়ীর বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি, তদন্তে পুলিশ