সনৎ ঝা, মোহন প্রসাদ ও উমেশ তামাঙ্গ, দার্জিলিং : পাহাড়ে (darjeeling) স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান চেয়ে সেমিনার (seminar) করল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা (gorkha ganamukti morcha)। তাতে গরহাজির ছিল বিজেপি (BJP), তৃণমূল কংগ্রেস (TMC), ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেমিনারে যোগ দেন হামরো পার্টি (hamro party) ও সিপিএমের (CPM) প্রতিনিধি।


গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার উদ্যোগ


আগেই পৃথক রাজ্যের দাবি থেকে সরে এসেছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। অন্যদিকে পাহাড়ে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানেরও দাবি করেছে তারা। শনিবার এ নিয়ে একটি সেমিনার করে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। তাতে পাহাড়ের সব রাজনৈতিক দলগুলিকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও উপস্থিত হয় শুধু মাত্র হামোরা পার্টি ও সিপিএমের প্রতিনিধিরা। অন্যদিকে গরহাজির ছিল বিজেপি, তৃণমূল ও ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি বলেছেন, 'আমরা সবাইকে ডেকেছিলাম, না এলে কী আর করা যাবে।' অন্যদিকে, সদ্য দার্জিলিং পুরসভা দখল করা হামরো পার্টির প্রধান অজয় এডওয়ার্ড সেমিনার প্রসঙ্গে বলেন, 'আলোচনা ভাল হয়েছে।'


তৃণমূল ও বিজেপির বক্তব্য


মোর্চার ডাকা সেমিনারে অনুপস্থিত থাকলেও পাহাড়ের মানুষের সমস্যার সমাধানে পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে তৃণমূল ও বিজেপি। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তা ছেত্রী বলেছেন, 'মুখ্যমন্ত্রী তো আগেই ওদের দাবি ড্রাফ্ট করে পাঠাতে। আমি সংসদের কাজে ছিলাম'। দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্ত বলেছেন, 'সংসদের কাজের জন্য ব্যস্ত। সেজন্য যেতে পারব না বলেছিলাম। তবে, পাহাড়ের আওয়াজ কেন্দ্রের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করব।'


বামফ্রন্টের বক্তব্য


পাহাড়ে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের পক্ষে মত প্রকাশ করেছে বামেরা। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য জীবেশ সরকার বলেছেন, 'বামেরা প্রথম থেকেই বলে আসছে পাহাড় ইস্যুতে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান দরকার।''


প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে সোমবার GTA নির্বাচন নিয়ে তৃণমূল-সহ পাঁচটি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার কয়েক দিনের মাথায় পাহাড়ে স্থায়ী সমাধানের জন্য সেমিনার করল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। 


আরও পড়ুন- পৃথক রাজ্যের দাবি থেকে সরে এল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন স্বায়ত্তশাসনের প্রস্তাব