উমেশ সিং, ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা : গত বছরের স্মৃতি এখনও ফিকে হয়নি। সিকিমে মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে ভেসেছিল সিকিম ও বাংলার পার্বত্য জেলাগুলি। কালিম্পংয়ের তিস্তাবাজার ভেসে গিয়েছিল জলের তোড়ে। একের পর এক বাড়ি ভেঙেছিল তাসের ঘরের মতো। সেই ভয়াবহ স্মৃতি কি আবার ফিরতে চলেছে ? বর্ষা শুরুতেই ফের ত্রস্ত তিস্তার পাড়। সিকিমের প্রবল বৃষ্টির জেরে কালিম্পঙের পার্বত্য এলাকাই হোক বা সমতলের তিস্তা ব্যারাজ এলাকা, বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইতে থাকা তিস্তার রোষে বিপর্যস্ত হতে পারে বহু জনপদ। তাই এবার আগে থেকেই সতর্ক প্রশাসন। 


জল বইছে প্রবল বেগে, ভাঙছে পাড়


ফুলে ফেঁপে উঠেছে তিস্তা নদী। জল বইছে প্রবল বেগে। ভাঙছে পাড়।  গত কয়েকদিন ধরেই সিকিম পাহাড়ে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। আর তার জেরে ফুঁসছে তিস্তা। জলস্তর বেড়ে চলেছে প্রতি মুহূর্তে। জলের তোড়ে ভাঙছে রাস্তা। বিপদ এড়াতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে  তিস্তাবাজার থেকে দার্জিলিং যাওয়ার রাস্তা। নিরাপদ জায়গায় সরে যেতে বলা হয়েছে তিস্তা পাড়ের বাসিন্দাদের।  জলপাইগুড়িতে তিস্তা নদী সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করা হচ্ছে প্রশাসনের তরফে।


উত্তরবঙ্গে হলুদ সতর্কতা 


এদিকে আবার উত্তরববঙ্গে ভারী বৃষ্টির হলুদ সর্তকতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার , জলপাইগুড়িতে প্রবল বৃষ্টি হবে। আগামী দু তিন ঘণ্টার মধ্যেই ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত হবে, সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে, জানিয়েছে হাওয়া - অফিস।  

রণং-দেহি তিস্তা 


গত কয়েকদিন ধরে সিকিম পাহাড়ে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে।  বিপর্যস্ত উত্তর সিকিম। ইতিমধ্যেই ৫ জন নিখোঁজ। মঙ্গনের কাছে পাকশেপে একজনের মৃত্যুর খবরও পাওয়া গিয়েছে। । প্রচুর বাড়ি ভেঙে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। ধস নামায় বন্ধ রাস্তা। মঙ্গনের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। সঙ্কলাঙে নির্মীয়মাণ সেতুটিও বাজে ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। ফুঁসছে তিস্তা নদী। জল বাড়ায় তিস্তাবাজার থেকে দার্জিলিং যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তিস্তা পাড়ের বাসিন্দাদের। সব মিলিয়ে স্মৃতিতে ফিরছে গতবছরের অক্টোবরে সিকিমে মেঘ ভাঙা বৃষ্টির স্মৃতি


আরও পড়ুন :                


দুপুর গড়াতেই কালো হবে আকাশ, শুরু হবে তুমুল দুর্যোগ, কোন কোন জেলায় আজ বৃষ্টি?