মলয় চক্রবর্তী,দার্জিলিংঃ প্রতিনিয়ত রান্নার গ্যাসের (LPG Price) মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এদিন পথে নামলো দার্জিলিং জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস (TMC Darjeeling)। উল্লেখ্য, গ্যাসের দামেও গত কয়েকদিনে আগুন লেগেছে। স্বাভাবিকভাবেই একদিকে যেমন পেট্রোল-ডিজেলের জন্য পরোক্ষভাবে সবজি থেকে মাছ বাজারের উপর প্রভাব ফেলেছে। যাওবা কেনা সম্ভব হচ্ছে, তাও আবার হিমশিম খেতে হচ্ছে এলপিজির দাম বাড়তেই। তাই এবার শিলিগুড়ির হাসমিচকে (Siliguri) এদিন 'উনুন ধরাও' কর্মসূচীর মাধ্যমে এই বিক্ষোভ (Agitation) কর্মসূচী পালিত হয়। বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য্য (Chandrima Bhattcharya)। 


আরও পড়ুন, জমি দিয়ে মিলল ৩০০ জুনিয়র কনস্টেবল পদে চাকরির নিয়োগ পত্র !


 রাজ্যে লাগাতার জ্বালানীর মূল্যবৃদ্ধিতে গত বছর থেকেই প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করে বাম-তৃণমূলেরা। আর সেই জ্বালানী শুধুই রান্নার গ্যাস নয়, পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধিতে বাইক জ্বালিয়ে, টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানায় রাজ্যের বামেরা। প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে ফিরহাদের স্কুটিতে বসে প্রতিবাদ জানাতে দেখা যায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে। তবে এই প্রথমবার নয়, উত্তরবঙ্গের পাহাড়ে এর আগেও রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধিতে প্রতিবাদ জানিয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন তৃণমূলের মহিলা সদস্যরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নের্তৃত্বে পথে নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন সোহিনীরাও। একদিকে রান্নার গ্যাস, অপরদিকে পেট্রোল-ডিজেলের দামের বৃদ্ধিতে দিশেহারা বঙ্গবাসী।


প্রসঙ্গত, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন পেট্রোলের উপর আফগারি শুল্ক প্রতি লিটারে ৮ টাকা কমানোর ঘোষণা করে। তারপর থেকে একমাসেরও উর্ধ্বে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম অব্যহত রয়েছে।কেন্দ্র পেট্রোল ও ডিজেলের এক্সাইজ ডিউটি কমানোর পরেই, রাজ্যে কমে আসে জ্বালানীর দাম। যদিও এখনও ১০০ টাকার উপরেই রয়েছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম।  তবে আগেই এত বেশি পরিমাণে জ্বালানীর দাম চড়ে রয়েছে, তাই নতুন করে মূল্য কমলেও মধ্যবিত্তের পকেটে টান আগের মতই পড়ছে। গত বছর কালীপুজোর আগে অবধিও পেট্রোল-ডিজেলের দাম গ্রাফে তির্যক উঠছিল। একে কোভিড পরিস্থিতির মাঝে ধীরে ধীরে সারাদেশ স্বাভাবিক হচ্ছিল। আর যার জেরে পরিবহণে বড়সড় প্রভাব পড়েছিল।


কোভিড পরস্থিতির মাঝে এমনিতেই বহু মানুষ অফিস যাওয়ার জন্য নতুন বাইক কিনে ফেলে। এদিকে অনেকে আবার কাজ হারিয়ে নতুন কাজের আশায় বাইরে বেরোয়। এমন এক পরিস্থিতি বাসের ভাড়া বাড়বে বাড়বে বলে যখন, বাস সংগঠনগুলির মধ্যে চাপান উতোর চলছে, তখনই নভেম্বরে আশার আলো দেখায় মোদী সরকার। ক্ষণিকের স্বস্তি পেলেও বাইশের ইউক্রেন-রাশিয়ায় যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি ঘটনায় জ্বালানীর দামে বিস্ফোরণ। তারপর থেকে দেশের সবাই ৫ রাজ্যের ভোটের দিন ঘোষণার জন্যই অপেক্ষা করেছে। সবারই এক আশা ছিল, ৫ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের আগে মোদী সরকার পেট্রোল-ডিজেলের দাম দাম কমাবে। তবে সে আশায় জল ঢালেনি গেরুয়া শিবির। তবে মধ্যবিত্তের হেঁসেলে এবার উদ্বেগ বাড়িয়ে দোসর হল রান্নার গ্যাস।