মোহন প্রসাদ, দার্জিলিং: ভোটার তালিকার কাজ শেষ হলেই পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচন হবে। তারপর হবে পঞ্চায়েত নির্বাচনও। ২৬ অক্টোবর কার্শিয়ঙে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে একথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘নতুন ভোটার তালিকা তৈরির কাজ চলছে। পূর্ণাঙ্গ ভোটার তালিকা তৈরির কাজ শেষ হলেই প্রথমে জিটিএ নির্বাচন, পরে পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে।’
তারপরই পাহাড়ে প্রস্তুতি শুরু করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এই আবহে জিটিএ-র তীব্র বিরোধিতা করে পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার দিতে শুরু করেছে জিএনএলএফ। বেশিরভাগ পোস্টারেই লেখা, ‘জিটিএ হটাও, পাহাড় বাঁচাও।’
জিএনএলএফ কর্মী সমর্থকরা হাতে পোস্টার নিয়ে যেমন বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তেমনই দোকান-বাজার থেকে শুরু করে পাহাড়ের গায়ে পর্যন্ত জিটিএ-বিরোধী পোস্টার সেঁটে দিচ্ছেন তাঁরা। পাহাড়ি রাস্তার ধারে লিখে দেওয়া হয়েছে, ‘জিটিএ গো ব্যাক। চাই স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান।’
জিটিএ নির্বাচন হলে তাঁরা যে মানবেন না, সে কথাও সাফ জানাচ্ছে জিএনএলএফ নেতৃত্ব। জিএনএলএফ-এর দার্জিলিং শাখার সাধারণ সম্পাদক সন্দীপ লিম্বু হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ‘রাজ্য সরকার জবরদস্তি জিটিএ ভোট করালে আমরা বিরোধিতা করব। গণতান্ত্রিক উপায়ে তীব্র আন্দোলন হবে।’
পাহাড়ের রাজনীতিতে বিজেপির জোটসঙ্গী হিসেবে পরিচিত জিএনএলএফ। দার্জিলিং বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি-র টিকিটে জয়ী হয়েছেন নীরজ তামাং জিম্বা। বিজেপি বিধায়ক হলেও তিনি একই সঙ্গে জিএনএলএফ-এর সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।
অন্যদিকে, সংসদের চলতি অধিবেশনেই জিটিএ নির্বাচনের বিরোধিতায় সরব হয়েছেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্ত। এই আবহে জিটিএ-র বিরোধিতায় সরব হওয়ায় অন্য দলগুলির সমালোচনার মুখে পড়েছে জিএনএলএফ।
কার্শিয়ং মহকুমার তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি আরিফ খান বলেছেন, ‘জিএনএলএফ-এর সঙ্গে জনমত নেই। ওরা সবসময় ভয়ে থাকে।’
ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার মুখপাত্র কেশব রাজ পোখরেল বলেছেন, ‘জিএনএলএফ দলটাই অগণতান্ত্রিক। তাই সবাই জিটিএ নির্বাচন চাইলেও ওরা চায় না। এরা শুধু প্যাকেজে এমপি, এমএলএ নিয়ে আসে।’
২০১৭ সালে মেয়াদ ফুরিয়েছে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের। তারপর দু’দফায় বদলেছেন চেয়ারম্যান। বর্তমানে দায়িত্বে রয়েছেন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি।