মোহন প্রসাদ ও উমেশ তামাঙ্গ, দার্জিলিং: তাপপ্রবাহে হাসফাঁস দক্ষিণের। প্রবল গরমে অসহনীয় পরিস্থিতি গোটা দক্ষিণবঙ্গে। একাধিক জেলায় তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি। দক্ষিণে যখন এমন গরম। তখন ঠিক উল্টো ছবি উত্তরে। বিশেষ করে দার্জিলিংয়ে। এখন এমন অবস্থা যে দার্জিলিংয়ে (Darjeeling) প্রায় কোনও হোটেল-হোমস্টে ফাঁকা নেই। ভিড় জমছে পাহাড়ে। ৪০ ডিগ্রিতে দক্ষিণবঙ্গ হাঁসফাঁস করছে। উত্তরে তখন গায়ে সোয়েটার দিতে হচ্ছে।
প্রবল গরম:
মধ্যগগনে বৈশাখ। এখনও একটা কালবৈশাখীর (Kalbaisakhi) মুখ দেখেনি কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলা। যদিও শুক্রবার দক্ষিণের বেশ কিছু এলাকায় সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যেই ঠান্ডার খোঁজে ব্যাগ-পত্তর গুছিয়ে অনেকেরই ডেস্টিনেশন দার্জিলিং পাহাড়। ফলে সেখানে এখন কার্যত তিল ধারণের জায়গা নেই।
একই ছবি কালিম্পঙেও (Kalimpong)। দক্ষিণের ভয়ঙ্কর গরমের হাত থেকে রক্ষা পেতে দলে দলে সেখানেও ভিড় করেছেন পর্যটকরা। কলকাতা থেকে আসা এক পর্যটক বলছেন, 'কলকাতায় থাকা যাচ্ছিল না। এখন কলকাতায় যাঁরা আছেন তাঁদের জন্য কষ্ট হচ্ছে।' শুধু আমাদের রাজ্য না। পাহাড়ে ভিড় করেছেন পড়শি রাজ্যের বাসিন্দারাও। ওড়িশা থেকে আসা পর্যটকদের একটি দলও পাহাড়ের ঠান্ডায় খুব খুশি।
ব্যবসায় গতি:
দক্ষিণে গরমের কারণে উত্তরে এখন লক্ষ্মীলাভ হচ্ছে পর্যটন ব্যবসায়ীদের। হোটেলে রুম খালি নেই। হোমস্টেও ভর্তি। হোটেলগুলোতে একটা রুমও খালি নেই বলে জানাচ্ছেন ট্যুর অপারেটররা। টুরিস্টের ভিড় দেখে মুখে হাসি ফুটেছে পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত সবারই। খুশি হোটেল ব্যবসায়ীরা, লাভের মুখ দেখছেন পরিবহন ব্যবসার সঙ্গে যুক্তরাও। দার্জিলিংয়ের ট্যুর অপারেটর প্রদীপ লামা বলেন, 'সব বুকিং আছে। এবার ভাল ট্যুরিস্ট আছে।'
সম্প্রতি পূর্ব রেল সূত্রে খবর ছিল, দার্জিলিং (Darjeeling), সিকিম (Sikkim) যাওয়ার জন্য নিউ জলপাইগুড়িগামী (NJP) পূর্ব রেলের সব ট্রেনে যাত্রী-আসন ভর্তি। এমনকী, স্পেশাল ট্রেনেও (Special Train) ২ দিনের মধ্যে সব টিকিট বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী জানিয়েছেন, আরও বিশেষ ট্রেন চালানো হচ্ছে। কিন্তু তাতেও যাত্রী সংখ্যা ভর্তি।
আরও পড়ুন: ঝড়ের তাণ্ডব কাড়ল প্রাণ, মাথায় গাছের ডাল ভেঙে মর্মান্তিক মৃত্যু কৃষ্ণনগরে