প্রদ্যোৎ সরকার, কৃষ্ণনগর (নদিয়া) : তাপের নাগপাশ থেকে মুক্তি দিয়েছে স্বস্তির বৃষ্টি। কিন্তু ঝড়ের (strom) তাণ্ডব কেড়ে নিল প্রাণও। মাথায় গাছের ডাল ভেঙে মর্মান্তিকভাবে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগরে (krishnanagar)। মৃতের নাম রবীন্দ্রনাথ প্রামাণিক (৫৬)। প্রসঙ্গত, পূর্ব বর্ধমানের (Purba Burdwan) কেতুগ্রামে (Ketugram) মর্মান্তিকভাবে ঝড়ে গাছ পড়ে এক ক্লাস সিক্সের স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।


কীভাবে ঘটে দুর্ঘটনা


ঘটনাটি ঘটেছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের (National Highway) রেলব্রিজের কাছে। মৃতের নাম রবীন্দ্রনাথ প্রামাণিক (৫৬)। বাড়ি কোতোয়ালি থানার রোড স্টেশন এলাকায় । স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার বিকেলে ঝড়ের সময় জাতীয় সড়ক দিয়ে স্কুটি চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন ওই ব্যক্তি। সেই সময়ই একটি গাছের বিশালাকার ডাল ভেঙে পড়ে তাঁর মাথায়। স্থানীয়রা ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।


ঝড়ের তাণ্ডবে বিঘ্ন ট্রেন চলাচলে


ঝড়ে তাণ্ডবে কাটোয়া-আজিমগঞ্জ শাখায় তার ছিঁড়ে কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। বিকেল সাড়ে ৫ টা থেকে সন্ধে সাড়ে ৯ টা, প্রায় চার ঘণ্টা বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল। যে সময় এই রুটে একাধিক ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে। রাতের দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হলেও কাটোয়া-বর্ধমান লাইনের সমস্ত ট্রেন বাতিল করা হয়।


ট্রেন পরিষেবা স্তব্ধ হয়ে যাওয়ার সময় ৪ ঘণ্টার মতো সময় গঙ্গাটিপুরী স্টেশনে আটকে ছিল তিস্তা-তোর্সা এক্সপ্রেস। হাওড়া-মালদা ইন্টারসিটির চাকা থমকে দাঁড়ায় কাটোয়া স্টেশনে। এছাড়া বিভিন্ন স্টেশনে একাধিক লোকাল ট্রেনও আটকে যায়। একাধিক ট্রেন আটকে পড়ায় চরম সমস্যায় পড়েন ট্রেনযাত্রীরা।


শুক্রবার বিকেলের দিকে বাঁকুড়া-বীরভূমে বৃষ্টি হয়েছে। গতকালও অল্প কিছুক্ষণের জন্য বাঁকুড়ায় শিলাবৃষ্টি সহ বৃষ্টি হয়। আজ বীরভূমে অল্প বৃষ্টির পাশাপাশি ঝড়ও হয়েছে। এদিকে সন্ধে নাগাদ কলকাতার নিউটাউন, ধর্মতলায় বৃষ্টি হয়। পাশাপাশি বরানগর-হাওড়া-হুগলিতেও স্বস্তির বৃষ্টি হয়েছে।


আরও পড়ুন-অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি, ছিটেফোঁটার রেশ কাটিয়ে ঝমঝমিয়ে কবে থেকে ? কবে কমবে গরম ?