অরিত্রিক ভট্টাচার্য ও সত্যজিত্‍ বৈদ্য, কলকাতা: ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়ছে তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলের (TMC)। তার পর খিদিরপুরের ‘অভিশপ্ত’ রাস্তা অস্থায়ী ভাবে সারানোর কাজ শুরু হল (Khidirpur Road Accident)। আপাতত রাবিশ ফেলে অস্থায়ী ভাবে রাস্তা ভরাট করে দেওয়া হল। খারাপ রাস্তা এবং নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে অনেক বেশি ওজনের সারের বস্তা বোঝাই থাকাতেই লরিটি গাড়ির উপর উল্টে যায় বলে দাবি স্থানীয়দের। বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ (Kolkata Port Trust)।


শনিবার রাতে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত্য়ু তৃণমূল নেতার ছেলের


শনিবার রাতে খিদিরপুরের গোডাউন থেকে বাবুবাজারে কাঁটাপুকুর রোড হয়ে গাড়ি চালিয়ে আসার সময় সারবোঝাই লরির নিচে চাপা পড়েন ৭৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর রাম পেয়ারে রামের ছেলে রামকিঙ্কর রামের। বয়স হয়েছিল ৩৮ বছর। দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া গাড়ি গ্যাস কাটার দিয়ে কেটে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। 


এর পরই রবিবার সকালে ওই রাস্তায় রাবিশ ফেলে মেরামতির কাজ চলতে দেখা যায়। রাবিশ দিয়ে ভরাট করা হয় রাস্তার খানা-খন্দ। যদিও স্থানীয়রা বলছেন, এই কাজটা কয়েক ঘণ্টা আগে করলে এ ভাবে চলে যেত না একটি তরতাজা প্রাণ। পাকাপাকি ভাবে রাস্তা সারানো হয়নি যদিও, রাবিশ ফেলে কোনও রকমে অস্থায়ী ব্যবস্থা করা হয়েছে।  


আরও পড়ুন: Soumitra Khan : "মানিক ভট্টাচার্য করে দেব", কাদের হুঁশিয়ারি বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-র ?


দুর্ঘটনার সময় ওই রাস্তায় আলোও জ্বলছিল না। কিছু ক্ষণ আগে হয়ে যাওয়া মুষলধারা বৃষ্টির জল জমে ছিল হাঁটু পর্যন্ত। এ দিন সকালেও খানা-খন্দে জমা জল চোখে পড়ে ওই রাস্তায়। দুর্ঘটনাস্থলে, রাস্তার পাশে পড়ে ছিল উল্টে যাওয়া লরির মালপত্রও। 


দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক ব্যক্তি বলেন, ‘‘রাস্তার জন্যই তো হয়েছে। খারাপ থাকলে ওভারলোড গাড়ি ঢোকে। প্লাস্টিকের বস্তা স্লিপ করে, পাশের গাড়িটা আস্তে করে পড়ে যায়। সবাই মিলে আমরা চেষ্টা করলাম বের করতে। সব শেষ। তিনি আর ছিলেন না।’’ বছর দেড়েক আগে তৃণমূলের স্থানীয় এক কর্মীও ওই রাস্তাতেই মারা যান বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, স্কুটারে চেপে যাচ্ছিলেন ওই যুবক। খানা-খন্দে পড়ে স্কুটার সমেত উল্টে যান। পিছন থেকে দ্রুতগতির একটি গাড়ি এসে চাপা দেয় তাঁকে। 


দুর্ঘটনার পর তদন্তের নির্দেশ বন্দর কর্তৃপক্ষ


রামকিঙ্করের মৃত্যুর খবর পেয়ে শনিবার রাতেই এসএসকেএণ হাসপাতালে পৌঁছন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফইরহাদ হাকিম। রবিবার দুপুরে বাড়িতে রামকিঙ্করের দেহ পৌঁছলে সেখানেও যান ফিরহাদ, মালা রায় এবং দলের বেশ কয়েক জন নেতা-কর্মী।