খণ্ডঘোষ : বালি চুরিতে যুক্ত পুলিশ-প্রশাসনের কর্তাদের মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya) করে দেব। পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষে (Khandagosh) পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি বৈঠকে এসে সংবাদ মাধ্যমের সামনে হুঁশিয়ারি সৌমিত্র খাঁ-র (Soumitra Khan)।
বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদের অভিযোগ, কয়েকটি থানার ওসি ৬০০ কোটি টাকার বালি কেলেঙ্কারিতে জড়িত। মানিক ভট্টাচার্য যেমন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন, পুলিশ ও ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিকদেরও তেমন অবস্থা হবে। রীতিমতো এই ভাষাতেই সরকারি আধিকারিকদের হুঁশিয়ারি দেন বিজেপি সাংসদ।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি ও নদিয়ার পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করেছে সিবিআই। যদিও শনিবারই যাদবপুরের ফ্ল্যাটের ব্যালকনিতে সংবাদমাধ্যমের সামনে এসেছেন মানিক। এবার সেই মানিক ভট্টাচার্যের নাম করেই পুলিশ, সরকারি কর্মীদের হুঁশিয়ারি দিতে শোনা গেল বিজেপি সাংসদকে।
আরও পড়ুন ; 'ইডি-সিবিআই-কে তথ্য পৌঁছে দিয়েছেন কুণাল ঘোষ', বিস্ফোরক সৌমিত্র খাঁ
কী বলছেন বিজেপি সাংসদ ?
তাঁর বক্তব্য, "এখানকার কয়েকটি থানার ওসি ৬০০ কোটি টাকার বালি কেলেঙ্কারিতে যুক্ত। এনিয়ে মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়েছি। এখানে যেসব বিএলএলআরও ডিএলআরও হাজার কোটি টাকা বালি কেলেঙ্কারিতে যুক্ত, তাঁদের প্রশাসনিক ব্যবস্থা হয়ে যাবে। তাতে কেন্দ্রীয় সরকারি এজেন্সি হোক বা রাজ্য সরকারি। কিন্তু, ব্যবস্থা তাঁদের হবেই। যে সমস্ত থানার অফিসাররা চার-পাঁচ বছর ধরে ছিলেন এবং এখন যেসব বিএলএলআরও-ডিএলআরও এসব করছেন, তাঁদের প্রত্যেককে মানিক ভট্টাচার্য করে দেব। যাঁরা খণ্ডঘোষে এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, মানিকবাবু যেমন লুকিয়ে বেড়াচ্ছেন, সেরকম ব্যবস্থা হবে।"
এনিয়ে জবাব দিতে ছাড়েনি তৃণমূল। দলীয় নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, সুজাতার স্বামী কীসব বলেছেন শুনলাম। ও পাগল ছাগলের কথার জবাব দেওয়ার মানে হয় না।
উল্লেখ্য, সৌমিত্র খাঁয়ের লোকসভা কেন্দ্র বিষ্ণুপুরের মধ্যেই পড়ে খণ্ডঘোষ বিধানসভা কেন্দ্র। এই খণ্ডঘোষেই দামোদর থেকে বালি তুলে বেআইনি কারবার হয় বলে অভিযোগ।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিস্ফোরক দাবি করেন সৌমিত্র। 'ইডি-সিবিআই-কে তথ্য দিয়েছেন কুণাল ঘোষ', বলেন বিজেপি নেতা সৌমিত্র খাঁ (Soumitra Khan)। তাঁর বক্তব্য, 'তৃণমূল কংগ্রেসের শস্যের মধ্যে ভূত রয়েছে। ইডি-সিবিআই-কে তথ্য পৌঁছে দিয়েছেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। উনি জেলে থাকাকালীন, যেখানে দেওয়ার দিয়ে দিয়েছেন। আরও অনেকে তৃণমূলে থেকে তথ্য পৌঁছে দিচ্ছেন। পার্থ-র টাকা কোথায় আছে, সেই তথ্যও পৌঁছে যাচ্ছে।'