সুনীত হালদার, হাওড়া: হাওড়া শহরে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে ৮ বছরের বালিকার মৃত্যু। হাওড়া পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওই বালিকাকে গত ২৩ অক্টোবর প্রবল জ্বর নিয়ে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়। 


পরিবার সূত্রে খবর, অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরের দিনই তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। আজ সকালে সেখানেই মৃত্যু হয় বালিকার। 


প্রতিবেশীদের অভিযোগ, এলাকায় নিকাশি বেহাল। পুরসভার তরফে মশানিধন অভিযানও নিয়মিত হয় না। সেই কারণেই বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ। 


এদিন মৃত বালিকার বাড়িতে যান হাওড়া পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য সুজয় চক্রবর্তী। চলতি মরশুমে ডেঙ্গির প্রকোপ তুলনামূলকভাবে কম বলে তাঁর দাবি। 


করোনার পাশাপাশি রাজ্যে দাপট দেখাচ্ছে মশাবাহিত রোগ। এবছরে কলকাতায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত প্রায় ৪০০ জন। মশাবাহিত রোগে ব্যাপক সংখ্যায় আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরাও। 


কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকে রাজ্য সরকার যে তথ্য পাঠিয়েছে, তা অনুযায়ী, চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ২২৪ জন। 


কিন্তু, তারপর থেকে যেভাবে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে, তাতে আক্রান্তের সংখ্যাটা আরও বেড়েছে বলেই অনুমান চিকিৎসকদের।


কলকাতা পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবরের ২০ তারিখ পর্যন্ত শহরে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ৪০০-র কাছাকাছি।


শুধু কলকাতা নয়। উদ্বেগজনকভাবে ডেঙ্গির প্রকোপ বেড়েছে সল্টলেকেও। বিধাননগর পুরসভা সূত্রে খবর, জানুয়ারি থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন সেখানে। আর অক্টোবরে মাত্র ২০ দিনে ২৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন।


পুজোর পর করোনার বাড়বাড়ন্তের মধ্যেই বেড়েছে ডেঙ্গি নিয়ে আশঙ্কা। কিছুদিন আগেই ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে একটি বৈঠক করে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। সেই বৈঠকে রাজ্যের ৪৩টি পুর এলাকার ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।


বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, যে বাড়িতে ডেঙ্গি আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া যাবে তার ৫০ মিটারের মধ্যে ফিভার সার্ভে করতে হবে। ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ মিললেই জানাতে হবে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে। অন্যদিকে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে মশাদমন অভিযানের সময়সীমা ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। 


আরও পড়ুন: Bankura: বাঁকুড়ায় তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ, কাঠগড়ায় বিজেপি