পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: বাঁকুড়ার (Bankura) তালড্যাংরায় তৃণমূল কর্মীকে (TMC) পিটিয়ে খুনের অভিযোগ। ঘটনায় বিজেপি (BJP) নেতা-সহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। মৃতের নাম বিপ্লব রায়। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, গতকাল রাতে বাড়ির সামনে পরিচিতদের সঙ্গে কথা বলার সময় আচমকাই লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। স্থানীয় বিজেপি নেতা বিশ্বজিৎ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে হামলা চলে বলে অভিযোগ। মারধরে গুরুতর জখম তৃণমূল কর্মীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন বিশ্বজিৎ। তারপর থেকেই এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। তার জেরেই হামলা বলে মৃতের পরিবারের অভিযোগ। হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে দায়ী করেছে বিজেপি।
মৃতের পরিবারের দাবি গতকাল রাত দশটা নাগাদ মান্ডি গ্রামের রাস্তার ধারে কয়েকজনের সঙ্গে বসে গল্প করছিলেন পেশায় কৃষি সেচ দফতরের কর্মী বিপ্লব রায়। আচমকাই কয়েকজন লাঠিসোটা নিয়ে তাঁৎ উপর হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে গুরুতর জখম হন বিপ্লব রায়। গুরুতর আহত অবস্থায় বিপ্লব রায়কে উদ্ধার করে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। বিজেপি নেতা-সহ চারজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
বড়বাজারের নিহত ব্যবসায়ী সব্যসাচী মণ্ডল খুনে সুপারি কিলার-সহ ২ জনকে গ্রেফতার করল বর্ধমান জেলা পুলিশ। নারকেলডাঙা থানা এলাকা থেকে ধৃতদের মধ্যে রয়েছে ব্যবসায়ী খুনে ব্যবহৃত গাড়ির মালিক। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, ব্যবসায়ী খুনে সুপারি কিলার নিয়োগ করা হয়। খুনের পিছনে হাত রয়েছে ব্যবসায়ীর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের। খুনের পর থেকেই বেপাত্তা ওই আত্মীয়। ২২ অক্টোবর, পূর্ব বর্ধমানের রায়নায় গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে খুন হন বড়বাজারের ব্যবসায়ী সব্যসাচী মণ্ডল।