আশাবুল হোসেন, কলকাতা: নবান্নে (Nabanna) বৈঠক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) ও অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal)। এসেছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানও। বিজেপি বিরোধী প্রধান দুই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠক হওয়ার কথা নবান্নে। লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি বিরোধী মহাজোট নিয়ে আলোচনা, খবর সূত্রের। কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে আমলা নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ আম আদমি পার্টির। অ-বিজেপি রাজ্যগুলির কাছে একজোট হওয়ার আবেদন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর। এবিষয়েও মমতা-কেজরিওয়াল আলোচনা হতে পারে, খবর সূত্রের। 


প্রেক্ষাপট...
অবিজেপি দলগুলির প্রধান ও অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আগেও বৈঠক করেছেন তৃণমূলনেত্রী। গত ২৪ মার্চ কালীঘাটে কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডি(এস) প্রধান কুমারস্বামীর সঙ্গে বৈঠক করেন তৃণমূলনেত্রী। পরে ২০ এপ্রিল ভুবনেশ্বরে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিনচারেক পর, নীতীশ কুমার ও তেজস্বী যাদবের সঙ্গেও তাঁর নবান্নে বৈঠক হয়। এর মধ্যে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য়মন্ত্রী। তাঁর কালীঘাটের বাড়িতে এসে দেখা করে যান সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদবও। রাজনৈতিক মহলের অনুমান, চব্বিশের সাধারণ নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এর মধ্যেই অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের একজোট হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন তৃণমূলনেত্রী। বিষয়টি নিয়ে সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ' উনি বুঝে গিয়েছেন, মোদির সামনে গেলে হাওয়া খারাপ হয়ে যাবে।' লক্ষ্যণীয় বিষয়, এখনও পর্যন্ত এই মহাজোট নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও কথা হয়নি তৃণমূলের। কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। বলেন, 'বিজেপি-বিরোধী মহাজোটের জন্য কলকাতায় এসে আলোচনার দরকার হয় না। দু'টো দল রয়েছে, এদের লক্ষ্য কংগ্রেসকে দুর্বল করা।' তাৎপর্যপূর্ণভাবে হালে কর্ণাটক বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের সাফল্য়ের পরও সে ভাবে সরাসরি শতাব্দীপ্রাচীন দলের নাম নেননি মমতা।


কী বলেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী?
‘লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির শেষের শুরু। চব্বিশের ভোটে বিজেপির হার নিশ্চিত। দেশকে বাঁচাতে পরিবর্তন জরুরি। বিজেপি হঠাও, দেশ বাঁচাও।'এমন একাধিক কড়া বার্তা শোনা গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে। সঙ্গে এও বলেছিলেন,  'যেখানে যে শক্তিশালী, সেখানে সেই দল লড়ুক। বিজেপিকে রুখতে একের বিরুদ্ধে এক ফর্মুলায় এগোতে হবে’, মন্তব্য তার। সঙ্গে আবার বলেন,  ‘উত্তরপ্রদেশে অখিলেশ যাদব ভাল ফল করবে।’ কিন্তু একবারও রাহুল গাঁধী বা কংগ্রেসের নাম মুখে আনেননি সে দিন যা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। 


আরও পড়ুন:হার্ট অ্যাটাকের আগে শুধু শরীরেই নয়, চুলেও আসে এই পরিবর্তন